সংঘর্ষে সময় আহতদের খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
দীঘিনালার ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুরো জেলায় আতঙ্ক তৈরি হয়। নাশকতা রোধে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে শুক্রবার বেলা ২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির সংঘাতের জেরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে আরেক পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও। সেখানে সংঘর্ষে একজন মারা যান। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
সেখানেও শুক্রবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর বেলা দেড়টা থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায়ও ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শনিবার এ দুই পার্বত্য জেলা সফর করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও এএফ হাসান আরিফ।
রাঙামাটিতে সভা শেষে তারা খাগড়াছড়িতে যান। সেখানে ডিসির সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিশেষ সভায় সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া হামলায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান বলেন, “একটি তুচ্ছ ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে বড় সহিংতায় রূপান্তর করা হয়েছে। কেউ চুরি করলে তাকে বিচার বহিঃর্ভূতভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলাও অনেক বড় অপরাধ।”
তবে যাই ঘটুক না কেন, পাহাড়ে সকল সম্প্রদায় যেন একসঙ্গে একই ছাতার নিচে থাকতে পারে সেই বিষয়ে পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “উসকানি ও গুজবের ফাঁদে পা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনা যেন ম্লান না হয়। আর এর জন্য পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে ভ্রাতৃত্বসূলভ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।”