আওয়ামী লীগ বর্তমান পরিস্থিতে থেকে ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে বাংলাদেশে অতীতে কোনো নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হওয়ার সম্ভবনা নেই। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
মাহবুবউল আলম হানিফের পক্ষে তার প্রেসসচিব তারিক উল ইসলাম টুটুল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘আওয়ামী লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে’ সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের দেওয়া এই বক্তব্যের জবাবে এমন বক্তব্য দেন হানিফ। হানিফ আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার যে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের অপতৎপরতা থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের অন্যতম এ যুগ্ম সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান হিসেবে বদিউল আলম মজুমদার গণতন্ত্রের কথা বলছেন। আবার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ, শক্তিশালী রাজনৈতিক দল; যে দলের নেতেৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, মর্যাদা যে দলের হাত ধরে, সেই দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচনের কথা বলেছেন।
যেটা এবোরেই অগ্রহণযোগ্য এবং অযৌক্তিক।
হানিফ উল্লেখ করেন, আইয়ুব খানের শাসনামল থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আওয়ামী লীগ এই দেশের মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগের শিকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় আছে। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তখনো এ রকম একটা ধাক্কা এসেছিল। সেই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। অতএব এবারের ঘটনায় এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে, এই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আওয়ামী লীগ আবার অতীতের মতো ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।
আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।