নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সরকার যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিশেষ অভিযানের প্রথম পর্যায় শনিবার থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে শুরু হবে, এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে নামবেন।
গাজীপুরে শুক্রবার রাতে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। এ ঘটনায় ছাত্ররা এবং সাধারণ জনগণ কয়েকটি স্থান থেকে গুরুতর আহত হন। শনিবার, এই হামলার পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবং দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করা হবে। এই অভিযানে পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করবেন। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
এই অভিযানটির লক্ষ্য, সন্ত্রাসী এবং অপরাধীদের কঠোরভাবে দমন করা এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ রাখা।
এদিকে, শুক্রবার রাতের হামলায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, এবং পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।