নিজস্ব প্রতিবেদক: ইতালির সরকার চলতি বছর ২০২৫-এ ১,৯১,৪৫০ জন বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় সুযোগ ছিল। স্পনসর ভিসার মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে “ক্লিক ডে” কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা ভিসা আবেদনকারীদের জন্য নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুযোগ প্রদান করে।
তবে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইতালির ভিসা অনুমোদন বন্ধ থাকায় এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বাংলাদেশিদের স্পনসর ভিসায় ইতালি প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে অতীতের অনিয়মিত অভিবাসন এবং কাগজপত্র জালিয়াতির কারণে ইতালির দূতাবাস নতুন আবেদনকারীদের ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। ঢাকায় ইতালির দূতাবাসও বর্তমানে নতুন আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করছে না, যার ফলে বাংলাদেশিরা বিকল্প উপায়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছেন, যা তাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
শ্রমবাজারে সুযোগ
ইতালির সরকার ২০২৫ সালে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে ১,১০,০০০ জন মৌসুমী শ্রমিক, ৭০,৭২০ জন সাধারণ কর্মী, ৭৩০ জন ব্যক্তিগত কাজের জন্য (Domestic Work), এবং ১০,০০০ জন স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। ইতিমধ্যে, যারা আগাম ফরম পূরণ করেছেন, তারা ৫, ৭ ও ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী “ক্লিক ডে” প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশিদের জন্য পরিস্থিতি
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইতালির শ্রমবাজারে প্রবেশের পথ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না থাকলেও, ভিসা অনুমোদন বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট সমাধান হতে পারে এবং বাংলাদেশিরা ইতালির শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ পেতে পারেন।
বাংলাদেশে হাজার হাজার কর্মী ইতালির ভিসা বন্ধ হওয়ার পর বিকল্প উপায়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করলেও, তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অংশগ্রহণের সুযোগ
যারা ইতোমধ্যে আগাম ফরম পূরণ করেছেন, তারা নির্ধারিত তারিখে “ক্লিক ডে” প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এতে মাধ্যমে, স্পনসর ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে আবেদনকারীরা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন।
এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা শীঘ্রই তুলে নেওয়া যায় কি না, যাতে তারা ইতালির শ্রমবাজারে যোগ দিতে পারেন।
মান্নান /