শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা আসছে আজ দুই ম্যাচ হেরেও সেমিফাইনালের স্বপ্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় কামনা করছে পাকিস্তান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিমাণে পরিবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মিরাজ! মুশফিকসহ ৩ পরিবর্তন হতে পারে পাকিস্তানের হার, সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথ এখন পানি মত সহজ সৌদি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বিনিময় হার আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট আরো কমে গেল ডলারের বিনিময় রেট এবার এল সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ

উপদেষ্টা পরিষদে বড় রদবদল: নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর সরকারের গতি বাড়ানোর পরিকল্পনা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে শীঘ্রই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। তার পদত্যাগের পর, উপদেষ্টা পরিষদে বড় ধরনের রদবদল হতে পারে, এমন গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে উঠেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নাহিদ ইসলাম চলতি সপ্তাহের শেষ অথবা আগামী সপ্তাহের শুরুতে পদত্যাগ ঘোষণা করতে পারেন।

নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর, উপদেষ্টা পরিষদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে, যে দপ্তরগুলো শূন্য হবে, সেখানে নতুন সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হতে পারে। বর্তমানে সরকারের কার্যক্রমে কিছুটা মন্থর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এবং এ কারণে উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন এনে কার্যক্রমে গতি আনার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। বিশেষত, সরকারের পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য পরিসরের সম্প্রসারণ ও কার্যক্রমের গতির উন্নতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এদিকে, বেসামরিক বিমান, পর্যটন ও ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া দপ্তরগুলোর দায়িত্ব পুনর্বণ্টিত হওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কা রয়েছে। এফ হাসান আরিফের মৃত্যুর পর, ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে, এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টা অফিসের অধীনে রাখা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যারা সরকারের কার্যক্রমে গতি আনতে সাহায্য করবে এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সরকারের কাজের গতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল সরকারের মন্থর গতির বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং তারা পরামর্শ দিয়েছে, সরকারের কার্যক্রমের গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য পরিসর বাড়ানো এবং আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সরকারের শ্লথ গতির কারণে জনগণের মধ্যে হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কার্যকরী পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।

নাহিদ ইসলাম ইতোমধ্যে জানিয়েছেন যে, তিনি যদি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন, তবে উপদেষ্টা পরিষদ ছাড়তে হবে। এ কারণে তার পদত্যাগের বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা আসতে পারে। কিছু সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম আলোচনায় রয়েছে, যিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে, বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারের বিদেশি কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায়, তার দপ্তর পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম।

একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর, তার দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের হাতে আসতে পারে। এছাড়া, প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মুশতাক খানের নামও আলোচনায় রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এবং নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। এই পরিবর্তনগুলি সরকারের কার্যক্রমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে পারে, যার মাধ্যমে জনগণের সুবিধার জন্য আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

নতুন উপদেষ্টা হিসেবে আরও কিছু নামও শোনা যাচ্ছে, এবং বিশেষ সহকারীদের মধ্যে কেউ উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিতে পারেন। এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারের কাজের গতিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হতে পারে এবং সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও সফলতা আসতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পরিবর্তন চূড়ান্ত হয়নি, তবে এসব নাম এবং সম্ভাবনা আলোচনায় রয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানের পর, ৫ আগস্ট দেশবাসী বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছিল, যেখানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরপর, সরকার উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে এবং বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের পুনর্বণ্টন করা হয়। এই পরিবর্তনগুলির মাধ্যমে সরকারের কার্যক্রমকে আরও সমন্বিত এবং কার্যকর করা হয়েছিল, যা জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থা বাড়াতে সহায়ক ছিল।

বর্তমানে সরকারের কাজের গতির বিষয়টি বড় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, এবং কিছু মন্ত্রণালয়ে নতুন মুখ নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পদত্যাগ এবং পরবর্তী রদবদল সরকারের কার্যক্রমে গতি আনার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। তবে, যদি এই পরিবর্তনগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে সরকারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হবে এবং জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থা আরো বাড়তে পারে।

এছাড়া, সরকারের কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করতে, উপদেষ্টা পরিষদে এই রদবদলগুলির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে। বিশেষ করে, মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি এবং সরকারের প্রভাবিত খাতে এসব পরিবর্তনগুলো কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com