ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল পাকিস্তান। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু সেটিও হাতছাড়া করল স্বাগতিকরা। করাচিতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। অন্যদিকে, দুর্দান্ত জয়ে সেমিফাইনালের সমীকরণ সহজ করল নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের দাপুটে ব্যাটিং প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ওপেনিংয়ে ডেভন কনওয়ে (১০) ও কেইন উইলিয়ামসন (১) দ্রুত ফিরে গেলেও মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন উইল ইয়াং ও টম ল্যাথাম। ইয়াং ১০৭ রান করে আউট হন, যা ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি এবং বিদেশের মাটিতে প্রথম শতক। এরপর গ্লেন ফিলিপস ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬১ রান করেন, আর ল্যাথাম খেলেন ১১৮ রানের দারুণ ইনিংস। পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম শাহ ও হারিস রউফ সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন।
পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয় ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। মাত্র ৬ রানে সৌদ শাকিল আউট হলে ৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর অধিনায়ক রিজওয়ানও ব্যর্থ হন, মাত্র ৩ রান করে ফেরেন। ২২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। বাবর আজম ও ফখর জামান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ফখর (২৪) দ্রুত ফিরে যান। তবে সালমান আলি আগা কিছুটা লড়াই করলেও ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন।
মিডল অর্ডারে তৈয়ব তাহির (১) ব্যর্থ হন, আর বাবর আজমও ফিফটির পর (৯০ বলে ৬৪) আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। শেষদিকে খুশদিল শাহ ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করেন, কিন্তু তা শুধুই পরাজয়ের ব্যবধান কমায়। শেষ পর্যন্ত ৪৭.২ ওভারে ২৬০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান, ফলে নিউজিল্যান্ড ৬০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এই জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠার পথ আরও সুগম হলো, আর পাকিস্তান পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য কঠিন সমীকরণের মুখে পড়ল।