নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০ তারিখ, দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচ, যেখানে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভারত। এটি দুই দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে, কারণ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অতীতে বেশ তীব্র এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ এই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নামবে, তবে তাদের স্কোয়াডে কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন যারা ভারতীয় দলকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ দিতে সক্ষম।
বাংলাদেশের একাদশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে, বিশেষ করে ওপেনিং জুটিতে। তানজিদ হাসান, যিনি ২১টি ওয়ানডে ম্যাচে মাত্র ২০.৬৫ গড়ে রান করেছেন, তাকে পরিবর্তন করা হতে পারে। তার পরিবর্তে নাজমুল হোসেন শান্ত ওপেনিংয়ে নামতে পারেন, যিনি এখন পর্যন্ত বেশ ধারাবাহিক ব্যাটিং করেছেন। শান্ত এবং সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি দলের জন্য শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে।
এছাড়া, মেহেদি হাসান মিরাজের তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ রয়েছে। মেহেদি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ম্যাচে ওপেনিংয়ে ব্যাট করেছেন এবং ভারতের বিপক্ষে তার গড় ৪৬—এটি তার উপর বাংলাদেশের আস্থার প্রতিফলন। তার ব্যাটিং কৌশল এবং নতুন বলের বিপক্ষে পারফরম্যান্স দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ মেহেদি সাধারণত বড় শট খেলার পাশাপাশি ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী শান্তভাবে ব্যাট করতে সক্ষম।
তৌহিদ হৃদয় চার নম্বরে ব্যাট করবেন, যেখানে তার ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাস এবং স্থিতিস্থাপকতা দলের জন্য উপকারী হতে পারে। পাঁচ নম্বরে আসবেন মুশফিকুর রহিম, বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এবং কৌশলী ব্যাটসম্যান। ভারতের বিপক্ষে মুশফিকের ৭০৩ রান প্রমাণ করে যে তিনি চাপের মধ্যে থেকে খেলা উপভোগ করেন এবং ম্যাচের পরিস্হিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে খেলার সক্ষমতা রাখেন।
এদিকে, জাকের আলী ফিনিশার হিসেবে নামতে পারেন, তাকে দিয়ে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বিপক্ষে আক্রমণ করার পরিকল্পনা থাকতে পারে। এর ফলে মাহমুদুল্লাহ ছয়ে ব্যাট করতে নামবেন, যিনি বড় শট খেলার দক্ষতা রাখেন এবং দলের ইনিংসকে দ্রুত গতিতে শেষ করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ দলে তিনজন পেসার এবং দুই স্পিনার নিয়ে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা এবং তাসকিন আহমেদ পেস বিভাগে থাকবে। মোস্তাফিজের ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বেশ ভালো রেকর্ড রয়েছে, এবং তার কাটার এবং সুইং ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। নাহিদ রানা তার গতি এবং বাউন্স দিয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরকে চাপে ফেলতে সক্ষম হতে পারে, যেটি বিশেষ করে ওপেনিং পর্বে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনও বাংলাদেশের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তার বলের ঘূর্ণন এবং আক্রমণাত্মক লাইন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই কঠিন হতে পারে, এবং তার স্পিনের সঙ্গে রোটেশন বাংলাদেশ দলকে ম্যাচে চাপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদুল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা।
এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী দল, যেখানে প্রতিটি খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। বাংলাদেশ ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তার যাত্রা শুরু করতে প্রস্তুত। এই দলটি শুধু ভারতীয় দলকে হারানোর জন্য নয়, বরং বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা দলগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য তৈরি।