কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের ‘আকাশ ছোঁয়া’ দাম

রিপোর্টার :
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৯৫ সাংবাদটি পড়া হয়েছে

পূজার আগে বাজারে পদ্মার ইলিশ ঢোকায় খুশি ভারতের বিক্রেতারা। যদিও আকাশ ছোঁয়া দামে ইলিশ কিনতে হবে তাদেরকে। এই মাছের দাম কতটা মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে, তা নিয়ে সংশয়ে মৎস্য বিক্রেতারা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই জেলার সমস্ত খুচরা বাজারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের ইলিশ। সকাল থেকেই হাওড়ার পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে এপার বাংলার ‘রুপালি শস্য’। পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মোট ১০ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে হাওড়ায়। হাওড়ার পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ১৪৫০ থেকে ১৭০০ ভারতীয় রুপির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে ইলিশের দাম। তবে জোগান এবং চাহিদার উপরে এই দাম ওঠানামা করতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে। বৃহস্পতিবারই পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে এ দেশে ঢুকেছে বাংলাদেশের ইলিশ। শুক্রবার পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে আরও কিছু পরিমাণ ইলিশ রাজ্যে ঢুকতে পারে।

প্রথম চালান যাবার পরই হাওড়া, পাতিপুকুর, বারাসাত, শিয়ালদা, উত্তরবঙ্গের শহর শিলিগুড়ির পাইকারি বাজারে পৌঁছা যায় বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ইলিশ। ভোররাতেই শুরু হয় মাছের নিলাম। যেখানে এক কেজির থেকে বড় ইলিশ পাইকারি বাজারেই দাম ওঠে ১৬০০ থেকে ১৭০০ রুপি। আর এক কেজির নিচের ইলিশের দাম উঠে ১৪০০-১৫০৯ রুপি। স্থানীয় খুচরা পর্যায়ে যেখানে দাম ওঠে দুই হাজার রুপি থেকে আড়াই হাজার রুপি পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলেছেন, পদ্মার ইলিশ মাছের ওপর এপার বাংলার বাঙালির তীব্র আবেগ থাকলেও দামের এমন ঊর্ধ্বগতি টান ফেলেছে পকেটে। এরমধ্যেও যে বিক্রি বাট্টা একেবারে খারাপ এমনটা নয়। তবে বিক্রি যেটুকু হয়েছে তার সিংহভাগই গিয়েছে বিত্তবানদের হেঁসেলে। মধ্যবিত্তের ভরসা সেই স্থানীয় ডায়মন্ড হারবার অথবা মিয়ানমারের ইলিশ। যদিও আসন্ন ছুটির দিন রোববার বিক্রি বাড়বে বলেই আশাবাদী বিক্রেতারা।

ইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, প্রথম দিনের চালান হিসাবে প্রায় ৫০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ এসেছে। যেহেতু প্রথম চালান স্বাভাবিকভাবেই বাঙালির আবেগের কারণে নিলামে দাম আজ একটু হলেও বেশি। ১০০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ এলে দাম হয়তো কিছুটা কম হতো। অনেক মাছ ব্যবসায়ীরা কিনতে এসেও দামের কারণে না নিতে পেরে ফিরে গিয়েছেন।

আমাদের যেহেতু পাইকারি বাজার তাই অনেক বিক্রেতা মাছ নিয়ে ঠিকই যাবে। কিন্তু ক্ষুদ্র পর্যায় তাদের বিক্রি করতে ভালোই বেগ পেতে হবে। তবে নিয়মিত মাছ আসা শুরু হলে এই দাম কিছুটা কমে যাবে। তবে এটাও ঠিক যে বাংলাদেশের মাছের ল্যান্ডিং অনেক কম। তাই দাম যে খুব বেশি কমে যাবে এমন আশা করা যাচ্ছে না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com