কারখানায় আতঙ্ক, অর্ডার চলে যাচ্ছে অন্য দেশে: এ কে আজাদ

রিপোর্টার :
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১১১ সাংবাদটি পড়া হয়েছে

দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করার কারণে বেশিরভাগ অর্ডার প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এ কে আজাদ বলেন, ‘শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে পারছেন না। বহিরাগতরা কারখানাগুলোতে অশান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের মধ্যে তেমন কোনো অসন্তোষ নেই। কিছুদিন আগেই প্রায় অর্ধেক বেতন বাড়ানো হয়েছে। মালিকরা সেই বেতন বাস্তবায়ন করছে। এখনও কারখানাগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎ ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। কারখানাগুলোতে পাঁচ ছয় ঘণ্টা করে ডিজেলে চালাতে হচ্ছে। এতে উদ্যোক্তাদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কারখানাগুলোতে নিরাপত্তার তীব্র সংকট। সন্ধ্যার পর কারখানাগুলোতে লুটপাট ঠেকাতে পাহারা বসাতে হচ্ছে। পুলিশকে ডাকলে পাওয়া যাচ্ছে না। সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু কারখানা তো অনেক, তারা কত জায়গায় যাবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে হামীম গ্রুপের এমডি বলেন, এই মাসে কোনোভাবে বেতন দিতে পেরেছি। কিন্তু সামনের মাসে ৭৫ হাজার শ্রমিকের বেতন দিতে পারব কি না তা জানি না।

এ কে আজাদ বলেন, দেশের কারখানাগুলোর এই অবস্থার জন্য বিদেশি বায়াররা আসছেন না। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ ৫টি দেশ বাংলাদেশকে ট্রাভেল ব্যান দিয়েছে। অর্ডার প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে। ভারতে বিনিয়োগের জন্য সরকার উদ্যোক্তাদের বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিচ্ছে।

অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com