স্বল্প পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমায় একাধিকবার এ সামরিক কর্মযজ্ঞ করে দেশটি।
এ সময় আশপাশ প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর রয়টার্স ও রেডিও ফ্রি এশিয়ার।
সিউলের সামরিক বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া প্রায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মতো উসকানিমূলক কাজ করছে। তবে এবারের উৎক্ষেপণ জুলাইয়ের শুরু থেকে ঘটা সব অস্ত্র পরীক্ষার মধ্যে বৃহৎ। পরমাণু শক্তিধর দেশটির এ ধরনের আচরণ নতুন নয়। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের শাসনাকালে এই বছর কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমায় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ নতুন গাইডিং সিস্টেম রকেট লঞ্চারের সফল উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার । সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া নতুন গাইডিং সিস্টেম সমৃদ্ধ ২৪০ মিলিমিটার মাল্টিপল রকেট লঞ্চার উৎক্ষেপণে সাফল্য দাবি করেছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
তিন মাস আগেই উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, তারা দেশের সামরিক বাহিনীকে ২৪০ মিমি মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের মতো অস্ত্রে সুসজ্জিত করতে যাচ্ছে। এ ধরনের রকেট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল এবং এর আশপাশের এলাকায় আঘাত করতে সক্ষম।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি-কেসিএনএ জানিয়েছে, মাল্টিপল রকেট লঞ্চারগুলোর চলাচল করার এবং গোলাবর্ষণের ক্ষমতার আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যা সব সূচকের মাধ্যমে সুবিধাজনক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আধুনিকায়নের এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে নতুন প্রয়োগ করা গাইডিং সিস্টেম, নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা এবং ধ্বংসলীলা চালানোর সক্ষমতা। এরই ধারাবাহিকতায় স্বল্প পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়ার মিত্র রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেছে। কিন্তু, দীর্ঘদিন কূটনৈতিক টানাপড়েনের কারণে তারা এই বছর দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘প্রধান শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম সরঞ্জাম দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে মোতায়েন করেছে। সে সঙ্গে অত্যাধুনিক অস্ত্র পরীক্ষার হার বাড়াচ্ছে।
সিউলের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ বলেছেন, তারা বৃহস্পতিবার ভোরে পিয়ংইয়ং থেকে পূর্ব সাগর বা জাপান সাগরে নিক্ষেপ করা একাধিক ‘স্বল্পপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ শনাক্ত করেছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার উড়ে যাওয়ার পর বিস্ফোরিত হয়। পরীক্ষাটি ‘একটি স্পষ্ট উসকানিমূলক যা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন করেছে।