আওয়ামী অপকর্মের ফিরিস্তিতে নতুন নাম মুন্সীগঞ্জের এমিলি পারভিন। তিনি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। টঙ্গীবাড়ির মূর্তিমান আতঙ্ক এই নারীর বিরুদ্ধে শুধু ইয়াবা সেবন নয়, রয়েছে মাদক ব্যবসার অভিযোগও। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মাদকের সম্রাজ্য গড়েছিলেন এই নেত্রী।
সংঘবদ্ধ ইয়াবাসেবী এই নারী দেহ ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে একাধিক পুরুষের সঙ্গে একটি কক্ষে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রমাণ মেলে । এছাড়া বিভিন্ন নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা এবং বিকৃত যৌনাচারের প্রমাণও মিলেছে এমিলি পারভিনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে মন্ত্রী—এমপি, এমনকি বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ও প্রভাবশালীদের নারীর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে স্বার্থ হাসিল করতেন এমিলি পারভিন। বাগিয়ে নেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদও। পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে কোম্পানি খুলে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায়ও জড়িত তিনি। এছাড়া অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা, বিদেশে টাকা পাচারসহ বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
নারী ও মাদক ব্যবসা করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন মাদকের বিশাল সাম্রাজ্য। গড়েছেন কিশোর গ্যাং। এছাড়া ত্রাশের রাজত্ব কায়েমে এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, নিরিহ মানুষের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ বিস্তর অভিযোগ এমিলি পারভিনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের কাছে তিনি দ্বিতীয় পাপিয়া হিসেবেই পরিচিত। তার ক্ষমতার দাপটে বেপরোয়া ছিলো ছেলে—মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরাও।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের এই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এলাকায় মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। তার এই বিশাল সাম্রাজ্য দেখাশোনা করেন ছেলে হৃদয়। বেশ কয়েক বছর আগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মাদকসহ গ্রেপ্তারও হন তিনি।
২০২৩ সালের এমিলি পারভীন এর মুন্সীগঞ্জের আস্তানার ১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড এর একটি গোপন ভিডিও আসে প্রতিবেদকের হাতে। যেখানে দেখা যায় বিশাল এক ইয়াবার চালান তার লোকজন দিয়ে দেখভাল করছন। ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা সবাই এমিলি পারভীন এর ব্যবসায় জড়িত।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বাড়িটি ছাত্র জনতা আগুন ধরিয়ে দেন। এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।