আমাদের বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধশালী একটি দেশ। যদিও আমরা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে না পারায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছি না। যে কারণে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ চরম দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। কিন্তু আমরা চাইলে দেশকে অনেক এগিয়ে নিতে পারি। এ জন্য প্রয়োজন সবার সম্মিলিত উদ্যোগ। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পর্যন্ত অনেক সরকার এসেছে আবার চলে গেছে। বিগত সময়ে যারা এই দেশটাকে পরিচালনা করেছে তারা সবাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। সম্প্রতি ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে
সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে। এই সরকার দেশকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এসব উদ্যোগ সফল হলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে বলে মনে করি। তবে দেশকে এগিয়ে নিতে গেলে বর্তমান সরকারকে যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে সে ব্যাপারে কিছু আলোকপাত করছি। সর্বপ্রথম আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আদিকাল থেকেই এ দেশের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস ছিল কৃষি। যা এখনো পর্যন্ত বিরাজমান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং উন্নত জাতের ফলন উৎপাদনের কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের কৃষি অনেক এগিয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের কৃষিতে সেই আগের ধ্যান-ধারণা নিয়ে কাজ করা হয় না। দেশের শিক্ষিত তরুণ যুবকরা কৃষি ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়োগ করছেন।
যে কারণে কৃষিক্ষেত্র দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে শস্য, পোলট্রিশিল্প, মৎস্যশিল্প, ডেইরিশিল্প বিরাট ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পোলট্রিশিল্পে উৎপাদিত মুরগি এবং ডিম দেশের ব্যাপক চাহিদা মেটাচ্ছে। আগে আমাদের শুধু দেশি মুরগির ওপর নির্ভর করতে হতো। বর্তমানে পোলট্রিশিল্পে বিভিন্নজাতের মুরগি উৎপন্ন হচ্ছে। যা নাকি দেশের চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ করছে। পোলট্রিশিল্পে উৎপাদিত ডিমও দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করছে। পোলট্রিশিল্পে বর্তমানে নানা সমস্যা বিরাজ করছে। এসব সমস্যা সমাধান করতে পারলে দেশের পোলট্রিশিল্প আরও এগিয়ে যাবে। দেশে উৎপাদিত পোলট্রিশিল্পের মুরগি এবং ডিম দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করার সুযোগ হবে। এ ব্যাপারে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশের পোলট্রির পর দেশের মৎস্যশিল্প অনেক এগিয়ে গেছে। মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ পৃথিবীর তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিরাট গৌরবের ব্যাপার। সারা দেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মৎস্য খামার। এসব খামারে সংযুক্ত রয়েছে দেশের শিক্ষিত তরুণ এবং যুবসমাজ। তারা মৎস্যশিল্পকে দিন দিন এগিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর রয়েছেন।
দেশে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় মৎস্য খামারে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের মাছ ক্রেতাদের ক্রয় সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। বিদেশেও আমাদের দেশে উৎপাদিত মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিদেশে মাছ রপ্তানি করতে রপ্তানিকারকদের নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। দেশের মৎস্য সম্পদকে আরও সমৃদ্ধশালী করে তুলতে ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে অনেকে মনে করেন। এ ব্যাপারে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তাছাড়া মৎস্যশিল্পে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। দেশের ডেইরিশিল্প আমাদের অর্থনীতিকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছে। সারা দেশে হাজার হাজার ডেইরি ফার্ম গড়ে উঠেছে। ডেইরিশিল্প থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ দুধ উৎপন্ন হচ্ছে তা দিয়ে দেশের দুধের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হচ্ছে। আগে দেশে দুধের উৎপাদন তেমন ছিল না বলে বিদেশ থেকে গুঁড়োদুধ আমদানি করে দুধের চাহিদা পূরণ করতে হতো। বর্তমানে গুঁড়োদুধের আমদানি অনেক কমে গেছে। যে কারণে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমে গেছে। দেশের মিষ্টির দোকানগুলো ডেইরিশিল্পে উৎপাদিত দুধ দিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করছে। আগে প্রতি বছর কোরবানির ঈদের সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে গরু আমদানি করতে হতো।
বর্তমানে দেশের ডেইরি ফার্মগুলোতে উৎপাদিত গরু দিয়ে দেশের মাংসের চাহিদা পূরণসহ কোরবানির সময় বিশালসংখ্যক গরু সরবরাহ করে থাকে। যে কারণে এখন কোরবানির ঈদের সময় দেশের বাইরে থেকে গরু আমদানি করতে হচ্ছে না। দেশের ডেইনিশিল্পের বিকাশে পদে পদে সমস্যা বিরাজমান। এসব সমস্যার মধ্যে গোখাদ্যের উচ্চমূল্য এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধের স্বল্পতা খামারিদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে রেখেছে। গোখাদ্যের দাম কমানো গেলে গরুর লালনপালন ব্যয় অনেক কমে যাবে। যে কারণে গরুর দাম কমলে গরুর মাংসের দামও কমে যাবে। এতে সাধারণ মানুষ গরুর মাংসের স্বাদ অনায়াসে গ্রহণ করতে পারবে। গরুর মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ সুগম হবে।
এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সুদৃষ্টি দেবেন বলে আশা রাখি। দেশের কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন আগের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে উচ্চফলনশীল কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে দেশে উচ্চফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান উৎপন্ন হচ্ছে। বিভিন্নজাতের শাকসবজি উৎপন্ন হচ্ছে। গবেষণার মাধ্যমে উন্নতজাতের ফলের উৎপাদনে এগিয়ে গেছে আমাদের দেশ। বিভিন্ন ফলের মৌসুমে মৌসুমী ফলের সময় ফলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমের মৌসুমে আমের ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে উদ্ধৃত্ত থেকে যাচ্ছে। আমের মৌসুমে দেশের কিছু কিছু রপ্তানিকারক বিদেশে আম সীমিত পরিসরে রপ্তানি করছে। আগামী বছর আম রপ্তানি বৃদ্ধি করা গেলে দেশের অর্থনীতিতে একটা পরিবর্তন আসবে বলে মনে করি। দেশের আমের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং তার সুষ্ঠু বিপণনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমের ফলন আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমচাষিদের উৎসাহিত করতে হবে। আম ছাড়াও দেশে আরও দেশি-বিদেশি ফলের উৎপাদন হচ্ছে। যা নাকি গত কয়েক দশক আগেও সম্ভব ছিল না। দেশের কৃষি খাত থেকে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগটাকে আমাদের কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করি। বর্তমান দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
আমাদের দেশের কৃষি খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশা রাখি। আমাদের দেশের কুঠিরশিল্প একটি সম্ভাবনাময় শিল্প, দেশে-বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশের কুঠিরশিল্পের উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের কুঠিরশিল্পে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানির ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ব্যবস্থা হবে। ইদানীং আমাদের দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তরা অনেক এগিয়ে গেছে। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তরা বেশ সফল হচ্ছেন। এতে অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্ততাদের উৎসাহিত করলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। দেশে নিত্য-নতুন পণ্যের সমাহার ঘটবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে কারিগরি শিক্ষাকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে কারণে সে সব দেশের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ যুবকদের বেশ চাহিদা থাকে। আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
যদি আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের তরুণ যুবসমাজকে গড়ে তোলা যায় তবে এসব তরুণ-যুবকরা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ব্যবস্থা হবে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের অদক্ষ শ্রমিকরা তেমন কোনো ভালো কাজ পায় না। আমাদের দেশের মতো জনবহুল দেশের মানুষকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিলে সুফল আসত। দেশের দক্ষ জনশক্তি রপ্তারির পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ব্যাপকভিত্তিতে রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিদেশে রপ্তানি হয়। কিন্তু এর পরিমাণ বৃদ্ধি করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বেড়ে যেত। এ ব্যাপারে সরকারকে একটু সুনজর দিতে হবে। আমাদের দেশে বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন শিল্পোদ্যোক্তরা এসে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবাধে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।
নতুন নতুন শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে দেশের বেকার সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়ে যাবে। দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটাতে হবে। দেশের সম্ভাবনাময় গার্মেন্টস শিল্পকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশে উৎপাদিত পোশাকের চাহিদা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে বেশ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান তরুণ আছে যারা বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীজ্ঞান রাখে।
তারা বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। এসব সম্ভাবনাময়ী তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। দেশে চীনের মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের ব্যবস্থা করলে বিদেশ থেকে আর ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হবে না। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। আমাদের দেশের কর্মস্থলে প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে শিল্পকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রম ঘণ্টা বাড়াতে হবে। দেশের রুগ্ণ শিল্পগুলোকে সংস্কার করে পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দেশের পাটকল, বস্ত্রকারখানাগুলোকে উন্নত করে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে সক্রিয় করতে হবে। এতে বিদেশি কাপড়ের ওপর আর নির্ভর করতে হবে না। পাটের উৎপাদিত নিত্য-নতুনসামগ্রী বিদেশে রপ্তানির সুযোগ হবে। দেশের মধ্যে অনেক অপ্রচলিত পণ্য রয়েছে। যেগুলো দেশের চাইতে বিদেশে এর অনেক চাহিদা রয়েছে। সেগুলো বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে।
দেশের সফটওয়্যারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে সফটওয়্যার শিল্পে ব্যাপক ভিত্তিতে সুযোগ দিয়ে সফটওয়্যার শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের আয় বিরাট ভূমিকা রাখছে। এই প্রবাসীদের আয় আমাদের দেশে বৈধপথে এনে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হতে হবে। সমস্ত প্রকার দুর্নীতি রোধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। দেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে দূরে রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে আজকের সমৃদ্ধশালী দেশ সিঙ্গাপুর, হংকং-এর মতো দেশকে পরিচালিত করতে হবে। ৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা দেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করে। তারা দীর্ঘ দশ বছরের মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রের মধ্যে স্থান করে নেয়। হংকং ও একই পথে পরিচালিত হচ্ছে। যে কারণে এসব দেশ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে রাজনীতি মুক্ত প্রশাসন চাই। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে দেশ পরিচালনা করছে। দেশে রাজনৈতিক প্রভাব অর্থনীতি, সমাজনীতি, সবকিছু ধ্বংস করে দেয়।
আমাদের দেশটাকেও এগিয়ে নিতে দিন। রাজনৈতিক তৎপরতা কমিয়ে দেশের কল্যাণে সবাই নিবেদিত হোন, দেখবেন দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। বাঙালি জাতি পারে না এমন কোনো কাজ নেই। শুধু দক্ষ পরিচালকের দরকার। সুদক্ষ পরিচালকের পথ ধরে চললে দেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষ আর দারিদ্যসীমার নিচে থাকবে না। তখন বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিশ্বে মানচিত্রে স্থান করে নেবে।