চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির জন্য পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ছিল দুর্বল। শুরু থেকেই টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও, মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াই কিছুটা আশা জাগায়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দ্রুতই উইকেট হারাতে থাকে। তানজিদ তামিম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত দ্রুত আউট হন। এরপর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ, যিনি ৪৪ রান করে দলের ইনিংসকে কিছুটা দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। মিরাজের ৫৩ বলে ৪৪ রান ছিল দলের পক্ষে সবচেয়ে বড় সংগ্রহ এবং তার ব্যাটিং ছিল সাবলীল ও দৃঢ়। তিনি দলের বিপর্যয়ের মাঝেও নিজের পরিশ্রমী ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন।
মিরাজের পরে সৌম্য সরকারও রান আউট হয়ে ফেরেন, তবে তাওহীদ হৃদয় চেষ্টা করেও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হন। মাত্র ৩৩ বলে ২০ রান করে হৃদয় আউট হয়ে যান এবং তার পারফরম্যান্স ছিল খুবই ধীর। তার ব্যাট থেকে মাত্র দুটি চার আসে, যা পুরো দলের জন্য হতাশাজনক।
এদিকে, বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে বিশেষ করে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের প্রয়োজন ছিল একটি বড় ইনিংস, কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। মিরাজ এবং হৃদয়ের মধ্যে ৪ নম্বর পজিশন নিয়ে দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। মিরাজ অবশ্য তার অবস্থান শক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, তবে হৃদয়ের জন্য এখনও সুযোগ রয়েছে।
মিরাজের ব্যাটিংয়ের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা আশা দেখছে, তবে দলটির ওপর চাপ কমানোর জন্য মিডল অর্ডার এবং ব্যাটিং লাইনআপের শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রয়োজন হবে। পরবর্তী ম্যাচে মিরাজ যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে, তবে তার জন্য ৪ নম্বরে সুযোগ পাওয়া অসম্ভব নয়।
বাংলাদেশ আশা করছে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা নিজেদের ব্যাটিং আরও উন্নত করতে পারবে এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করবে। তবে, প্রস্তুতি ম্যাচে এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর মিডল অর্ডারের জন্য কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরবর্তী ম্যাচগুলোতে মিরাজ এবং হৃদয়ের মধ্যে কে একাদশে জায়গা করে নেবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।