এক জুমার দিনে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে নববির মিম্বারের প্রথম সিঁড়িতে পা রেখে বললেন, আমিন। মিম্বারের দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রেখে আবার বললেন, আমিন। মিম্বারের তৃতীয় সিঁড়িতেও পা রেখে আবার বললেন, আমিন। অর্থাৎ আল্লাহ কবুল করুন।
মিম্বারে উঠে খুতবা দেয়ার আগে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেন তিনবার আমিন বলেছিলেন তা জানতে চান সাহাবায়ে কেরাম। কেননা রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগে কখনো এরকমটি করেননি।
হজরত কাব বিন ওজরা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমিন বলার কারণ বর্ণনা করে বলেন, ‘মাত্র জিবরাইল প্রথম সিঁড়িতে পা রাখার সময় বলল, ধ্বংস হোক সেই ব্যক্তি, যে রমজান মাস পেল অথচ তার গোনাহ মাফ হলো না। আমি বললাম, আমিন।’
‘দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখতেই জিবরাইল বলল, ধ্বংস হোক সেই ব্যক্তি, যার সামনে আপনার নাম উচ্চারিত হওয়া সত্ত্বেও সে আপনার ওপর দরুদ পড়েনি। আমি বললাম, আমিন।’
‘তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখতেই জিবরাইল বলল, ধ্বংস হোক সেই ব্যক্তি, যে তার পিতামাতা উভয়কে অথবা উভয়ের একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল অথচ সে জান্নাত লাভ করতে পারল না। আমি বললাম, আমিন।’ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা কবুল করুন।’ (মিশকাত)
এ হাদিস থেকে প্রথমত বুঝা গেল যে, রমজান মাস, রমজানের রোজা ও ইবাদত অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ। তাই রমজানের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা জরুরি। দ্বিতীয়ত যখনই নবীজির (স.) নাম শোনা যাবে তখনই তার ওপর দরুদ পড়তে হবে। তবে উলামায়ে কেরাম বলেন, এক বৈঠকে শুধু একবার বলা ওয়াজিব।
তৃতীয়ত, দুনিয়াতে পিতামাতা আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। যারা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পিতামাতার খেদমত করে না, তাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসবে ধ্বংস। আর সে সংবাদ শুনে প্রিয়নবী তা কবুলের জন্য আমিন বলেছেন। যে বদ দোয়ায় নবীজি আমিন বলেছেন তা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে; নয়তো ধ্বংস অনিবার্য।