বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদ পরিবার, আহত ও কারাবন্দীদের সম্মাননা ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকার ৬০০ শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক সম্মাননা দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডেমরা সারুলিয়ায় শহীদ স্মৃতি মিলনায়তনে কেমন বাংলাদেশ চাই শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তাদের এই সম্মাননা দেয়া হয়।
শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সহকারী সচিব শরিফুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে তরুণদেরকে নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নতুন করে যেন কোন স্বৈরাচার তৈরি হতে না পারে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং মেধাবৃত্তিক কর্মমুখী প্রজন্ম গড়ে তুলতে সবাইকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, শহীদ ও আহত পরিবারের প্রতিটি সদস্য আমাদের পরিবারের সদস্য। তাদের সুখে-দুখে পাশে দাঁড়াতে হবে।
যে কোন উৎসব আয়োজনে তাদেরকেও পাশে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না স্বাধীন দেশ গঠনে তাদের আত্মত্যাগ সবচেয়ে বেশি।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, বিপ্লবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা শিক্ষার্থীদের দেশ গঠনেও সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। ৬৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইব্রাহীম বলেন, এই শিক্ষার্থীদের সচেতন ভূমিকায় দেশকে কল্যাণের পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। আগামীর সুখী সমৃদ্ধ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুব মনি, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিভিত্তিক সংগঠন বোঝাপড়ার সমন্বয়ক এম এম শোয়াইব, তরিকুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমদসহ তরুণ শিক্ষার্থীরা।