ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নকল হীরার সিন্ডিকেটের সন্ধানে তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দারা। হীরার নামে মোজানাইট পাথর কাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিলীপের সিন্ডিকেটের বেশ কিছু ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। তবে এখন এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিলীপের সিন্ডিকেটের বেশ কিছু ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। তবে এখন এগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রিমান্ড শেষে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযোগ রয়েছে, নকল হীরা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে দিলীপ সিন্ডিকেট। এই অর্থের বড় একটি অংশ তারা বিদেশে পাচার করেছে। দেশের মতো বিদেশেও গড়েছে সম্পদ। তবে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি অংশ তারা তৎকালীন হাসিনা সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালীকে দিত নিয়মিত। এর মাধ্যমে নিরাপদ রেখেছিল তাদের সম্পদ।
অভিযোগ রয়েছে, গ্রাহকদের মোজানাইট কিংবা জারকান পাথরকে আসল হীরার গ্যারান্টি দিয়ে প্রতারণা করছে দিলীপ আগরওয়ালের ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। এসংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। কিন্তু আজও তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। এদিকে দুদকের তদন্তের পর ২০১৮ সালে প্রথম হীরা আমদানি করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। ওই বছর তিন হাজার ক্যারেটের অমসৃণ হীরার দুটি চালান আমদানি করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড। এর আগে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। এর আগের ১৩ বছর কোথা থেকে এই ডায়মন্ড সংগৃহীত হতো সেই প্রশ্নও রয়েছে। এগুলো নকল বলেও অভিযোগ রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রথম মসৃণ হীরা আমদানি এবং পরবর্তী সময়ে রপ্তানি করে সাভারের মির্জানগরের এইচআরসি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের ব্রিলিয়ান্ট হীরা লিমিটেড।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সোনার মার্কেটে ব্যবসার সুবাদে দিলীপ কুমার আগরওয়াল ও এনামুল হক খান দোলনের সখ্য বাড়ে। অতিমুনাফার লোভে জড়িয়ে পড়েন চোরাকারবারিতে। প্রথমে স্থলপথে চুয়াডাঙ্গায় সোনা চোরাচালান শুরু করে এই সিন্ডিকেট। পরবর্তী সময়ে আকাশপথে এবং আগরওয়ালের তারা দেবী শিপিং অ্যান্ড সি ট্রেডের মাধ্যমে জলপথেও সোনা পাচার করতেন তারা।