বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্রে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা আলাদা আলাদা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোরধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা থানা এলাকায় ভিকটিম সোহাগ মিয়া ও হাফিজুল শিকদারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় নতুন করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের আইনজীবী জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন ১৪ আগস্ট তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
গত ১৯ আগস্ট রাতে ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় পরদিন ২০ আগস্ট তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন। এছাড়া বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদারকে (৩১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ২৪ আগস্ট তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।
গত ১৪ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় পলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর পৃথক দুই হত্যা মামলায় তার তিনদিন করে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।