গত কয়েক মাসে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে, বিশেষত ছাত্রদের কোটা বাতিল আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং সরকারের পতনের ডাক দেওয়া সাপেক্ষে। এই সময়েই আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তাঁর পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যাপারে গুঞ্জন চলছে, যা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় নাগরিক কমিটির গঠনের পর থেকে ছাত্ররা সরকারের বিরুদ্ধে এক নতুন রাজনৈতিক জোয়ার সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। জুলাই মাসের অভ্যুত্থান আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের অনেকেই এখন নতুন রাজনৈতিক দলের চিন্তা করছেন। আর এই দলের নেতৃত্বে আছেন নাহিদ ইসলাম। তবে প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি সত্যিই নতুন দল গঠনের উদ্দেশ্যে সরকারের পদত্যাগ করছেন, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে?
নাহিদ ইসলাম নিজেই জানান, “যদি মনে করি জনগণের জন্য কাজ করা এবং তাঁদের জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়া বেশি জরুরি, তাহলে আমি সরকার থেকে পদত্যাগ করব এবং নতুন দলের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করব।” তার এই মন্তব্যের পর থেকেই রাজনীতির অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে, এবং প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন, নাকি রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের ব্যাপারে জাতীয় নাগরিক কমিটির এক সদস্য বলেন, “এটি পুরোপুরি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে তিনি যদি সরকার থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে মন্ত্রণালয়ে কিছু পরিবর্তন আসবে, এবং এটা দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।”
একইসঙ্গে, পদত্যাগের পর নতুন সরকারে কে আসবেন, তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন চলছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে মাহফুজ আলমের আসার সম্ভাবনা শোনা যাচ্ছে, তবে ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আসবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ, তার নতুন দলের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা, এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন দেশের জন্য বড় এক বাঁক ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।