নিজস্ব প্রতিবেদক: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বাঁচা-মরা ম্যাচে কোচ ফিল সিমন্সকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এবারের ম্যাচে পারফরম্যান্সই মূল চালিকা শক্তি হতে পারে, অভিজ্ঞতার চেয়ে। মুশফিকুর রহিমের অফ ফর্মে তার খেলা নিয়ে ক্রিকেটভক্তদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে, আর টিম ম্যানেজমেন্টও কিছুটা অখুশি। ভারতীয় বোলার অক্ষর প্যাটেলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ক্যাচ আউট হয়ে মুশফিক দলের বিপর্যয়ে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। তার সাম্প্রতিক ১০ ম্যাচে মাত্র একটিতে ৫০ রান করতে পেরেছেন, যা তার অভিজ্ঞতা এবং খ্যাতির সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না। আইসিসি ইভেন্টগুলিতে তার ব্যাটিং প্রায়ই মলিন থাকে, ফলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, কিউইদের বিপক্ষে তাকে না নেওয়ার পক্ষেই তারা।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য—নাহিদ রানা ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ—একাদশে ছিলেন না। টিম কম্বিনেশনের কারণে নাহিদ রানাকে জায়গা দেওয়া হয়নি, আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছিল আনফিট, যার কারণে তিনি বাদ পড়েছিলেন। তবে, গুঞ্জন রয়েছে যে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা একাদশে ফিরে আসতে পারেন। ভারতের বিপক্ষে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ ছিল ওপেনিং ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স। তামিম ইকবাল ২৫ রান করলেও সৌম্য সরকার কোনো রানই করতে পারেননি। কিন্তু, টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের ওপর আবারও নির্ভর করতে পারে।
মিডল অর্ডারে মুশফিকের বদলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে, যিনি গত চার ম্যাচে অর্ধশতক করেছেন এবং তার গড় ১৪৭। তার সঙ্গে থাকতে পারেন সেঞ্চুরিয়ান তাওহীদ হৃদয় এবং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। স্পিন বিভাগে মিরাজের সঙ্গে গত ম্যাচে একমাত্র সফল বোলার ছিলেন রিশাদ হোসেন, যিনি বিরাট কোহলির উইকেটসহ আরও দুটি ব্যাটারকে আউট করেছিলেন। ব্ল্যাক কেপসদের বিপক্ষে তার সামর্থ্য আরও একবার প্রমাণ করার সুযোগ থাকবে।
পেইস ইউনিটেও পরিবর্তন আসতে পারে। প্রথম ম্যাচে তাসকিন ছাড়া ফিজ ও সাকিব দুজনেই ব্যর্থ ছিলেন, তাই তানজিম সাকিবের বদলে নাহিদ রানা সুযোগ পেতে পারেন। নাহিদ রানা এবারের টুর্নামেন্টে অন্যতম আকর্ষণ, এবং অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। কোচ সিমন্স তাকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা সাজাতে পারেন, আর রাওয়ালপিন্ডি থেকে সুপরিচিতি পাওয়া নাহিদ এবার সেই সাফল্য মাঠে প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন।
এবার ২৪ তারিখ বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে, আর এই ম্যাচের মাধ্যমে টাইগাররা নিজেদের সামর্থ্য আবারও প্রমাণ করতে চায়।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
১. তানজিদ হাসান তামিম
২. মেহেদী হাসান মিরাজ
৩. নাজমুল হোসেন শান্ত
৪. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
৫. তৌহিদ হৃদয়
৬. জাকের আলি অনিক
৭. রিশাদ হোসেন
৮. নাসুম আহমেদ
৯. তাসকিন আহমেদ
১০. তানজিম সাকিব
১১. নাহিদ রানা