নিজস্ব প্রতিবেদক: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বগুড়া জেলার এক নেতা বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা নেতারা তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছেন, কারণ তিনি ছাত্রলীগের একজন নিষিদ্ধ নেতা, যা সংগঠনের প্রতি তাদের আস্থার ক্ষতি করতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
৩০ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া জেলা শাখার ৩৩৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে, এই কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরই অভিযোগ ওঠে যে, কমিটিতে কিছু অছাত্র এবং চাঁদাবাজি সংশ্লিষ্ট সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে আন্দোলনের ত্যাগী এবং সৎ নেতারা হতাশ হয়েছেন। এর ফলস্বরূপ, সদস্যসচিব শাকিব খানের পদ স্থগিত করা হয় এবং নতুন সদস্যদের নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
বগুড়ার সান্তাহার উপজেলার মেরাজ হোসেনকে যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মেরাজ ২০২৩ সালে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা অবস্থায়, গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটিয়ে তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। ৩০ জানুয়ারি ঘোষিত কমিটিতে ২৬ জন যুগ্ম সদস্যসচিবের মধ্যে মেরাজের নাম ছিল ১৬ নম্বরে।
এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশেষত, ছাত্রলীগের নেতারা মেরাজের এই পদে নিয়োগকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন, কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে, যিনি ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ নেতা ছিলেন, তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শীর্ষ পদে রাখা নৈতিকভাবে সঠিক নয়।
বিষয়টি নিয়ে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেছেন, “যদি মেরাজের নাম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে থাকে, তাহলে তাকে সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মেরাজ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হচ্ছে এবং আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সিদ্দিকা/