ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সামনে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বিবিসি বাংলাকে জানান, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাদের আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
এদের মধ্যে জালাল আহমেদ ও মোহাম্মদ সুমনকে ফজলুল হক হল থেকেই আটক করা হয়। অপর ছাত্রকে আটক করা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম নিশ্চিত করতে পারেননি প্রক্টর।
তিনি জানান, ভিডিও দেখে এই তিনজনকে শনাক্ত করে প্রক্টরিয়াল টিম। বুধবার মধ্যরাতে মোবাইল চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেনকে গণপিটুনি দেয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে আটটা-নয়টার দিকে দিকে ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে আটক করে গেস্টরুমে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে ১০টা পর্যন্ত কয়েক দফা মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে ভাত খাইয়ে ছবি ধারণ করা হয়। এরপর আবার তার ওপর চলে পাশবিক নির্যাতন। পরে রাত ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
ঘটনার ছবি ও তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভিডিও দেখে পিটিয়ে হত্যায় সম্পৃক্ত কয়েকজনের পরিচয় উন্মোচন করতেও দেখা যায় অনেককে।