চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর জন্য নিজেদের প্রস্তুতি আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দল এক অনন্য কৃতিত্বের সাক্ষী হয়েছে। দুবাই যাওয়ার আগে, একটি অনুশীলন ম্যাচে তারা ৪৮ ওভারে ৩৯৬ রান করে বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বিশাল রান তাড়ার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ দলের কাছে কোনো আশার সঞ্চার করতে না দিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে সবাইকে চমকে দিয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং বিশ্বের প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমী ও প্রতিপক্ষ দলদের জন্য একটি বড় বার্তা ছিল যে, তারা এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বড় লক্ষ্য নিয়ে নামছে।
ব্যাটিং লাইনআপে ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শান্ত, সৌম্য সরকার, তানজিদ তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, তৌহিদ হৃদয় এবং জাকের আলী। ওপেনিং জুটিতে শান্ত এবং সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত শুরুর পর তানজিদ তামিম এবং মুশফিকুর রহিম ব্যাটিং পার্টনারশিপের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রানগুলো যোগ করতে থাকেন। তাদের এই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দলের আত্মবিশ্বাসকে আরও অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শান্ত এবং সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি প্রায় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে দেয়, যেখানে রান তুলতে লাগেনি অনেক সময়।
এরপর তানজিদ তামিম এবং মুশফিকুর রহিম নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে ইনিংসকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান, এবং নিজেদের অর্ধশতকসহ একটি বড় সংগ্রহে যোগদান করেন। মাহমুদউল্লাহ, তৌহিদ হৃদয় এবং জাকের আলীও শেষদিকে এসে তাদের জ্বলে ওঠা ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর বাড়াতে অবদান রাখেন। বিশেষ করে তৌহিদ হৃদয় এবং জাকের আলী দলের হার না মানা মনোভাবের প্রতীক হয়ে উঠেন, যারা বড় রান তোলার প্রতি তাদের নিষ্ঠা এবং উৎসাহ দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশ দলের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর জন্য তাদের আত্মবিশ্বাসের বড় উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলটি নিজেদের শক্তিশালী ব্যাটিং শক্তি এবং পরিকল্পনা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নেমে আসবে এবং প্রতিটি প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করতে প্রস্তুত। তাদের এই পারফরম্যান্স সবার সামনে এক নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে, যেখানে প্রতিটি ক্রিকেটার নিজের ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ, বিশেষ করে প্রধান কোচ এবং অধিনায়ক শান্ত, পুরো দলকে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাদের লক্ষ্য শুধু একটি ভালো পারফরম্যান্স নয়, বরং একটি বড় লক্ষ্য অর্জন করা—চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জেতা। তাদের এই অদম্য মনোভাবের ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে এবং নিজেদের সেরাটা দেয়ার জন্য প্রতিটি মুহূর্তে প্রস্তুত।
এই প্রস্তুতি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সফলতার পথে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে। দেশবাসী তাদের জন্য দোয়া করছে এবং আশাবাদী যে, এই দল এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইতিহাস তৈরি করবে।