সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করেছে। শাহবাগে অবস্থানের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগে শাহবাগে সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পৌঁছানোর পর তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। তখন সেখানে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে আগেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে প্রধান উপদেষ্টার বাসার সামনে যায়। তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সেখানে তাদের আমরা থাকতে দেব না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। তবে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে খুব বেশি বল প্রয়োগ করাও ঝামেলা। এখন অল্প কিছু লোক এখানে রয়েছে।
দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী সেখানে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনের ফলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের দুই পাশে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় শত শত চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য ও নানা ধরনের স্লোগান দেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি ছাড়াও শর্তসাপেক্ষে বয়সসীমা উন্মুক্ত করারও দাবি তাদের। চাকরিপ্রত্যাশীদের এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পড়াশোনা সম্পন্ন করা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।
এর আগে, গত ২৬ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আশপাশ সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।