ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ করতে গিয়ে সেখানে আটকা পড়েছেন বহু ইসরাইলি। তাদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইসরাইলের শহর তেলআবিবে রবিবারও বিক্ষোভ করেছে দেশটির লাখো মানুষ। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেন। এ ছাড়া গাজায় বন্দি প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সঙ্গে দ্রুত চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান। খবর আলজাজিরার।
গাজায় আটক বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে রবিবার সেনা সদর দপ্তর এবং অন্যান্য সরকারি ভবনের বাইরে জড়ো হন ইসরাইলিরা। পরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা। এ সময় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলে এখনো বন্দি হয়ে থাকা প্রায় ১০০ বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তারা। গত দুই সপ্তাহ আগে গাজা থেকে ছয় বন্দির লাশ উদ্ধার করা হলে বাকি বন্দিদের নিয়েও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে ইসরাইল।
যার প্রেক্ষিতেই ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। যেই বিক্ষোভে আনুমানিক সাড়ে সাত লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে বলা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে। রবিবারের সমাবেশে অংশ নেওয়া বন্দিদের পরিবার জানিয়েছে, বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের ব্যর্থ আলোচনায় তারা হতাশ। অনেকে নেতানিয়াহুকে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারার জন্য দোষারোপ করেছেন। তাদের মতে, যতদিন যুদ্ধ চলবে ততদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন নেতানিয়াহু। আর সে কারণেই যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইচ্ছে নেই তার।
ইসরাইল গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন বর্বরতা চালানোর পাশাপাশি পশ্চিমতীর থেকেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। ফিলিস্তিনি বন্দি বিষয়ক সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জর্ডান নদীর পশ্চিমতীর থেকেও ইসরাইলি সেনারা এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।