নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিববেদী, দক্ষিণ এশিয়ায় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে, ভারতীয় সীমান্তে পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার মতে, ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে, যা শুধুমাত্র ভারত নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিববেদী দাবি করেছেন যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা দলের সদস্যরা বাংলাদেশের ভেতরে কার্যক্রম চালাচ্ছে, বিশেষ করে সেভেন সিস্টার্স এলাকায় তাদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। তিনি বলেন, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আরও সজাগ থাকতে হবে, কারণ পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে অপারেশন চালানোর চেষ্টা করতে পারে।
ভারতের সেনাপ্রধানের বক্তব্য শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পাকিস্তান এবং চীন সম্পর্কিতও কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চীনের সঙ্গে সীমান্তের উত্তেজনা এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ভারতের জন্য একাধিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের প্রতি চ্যালেঞ্জ আরও বাড়ছে, যা দেশটির সেনাবাহিনীকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করছে।
বাংলাদেশের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় সেনাপ্রধানের বক্তব্যের পর, বাংলাদেশের কূটনীতিকদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশের সরকারের উচিত, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনা কমানো এবং ভারতের সাথে সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো ধরনের বিভ্রান্তি এড়ানো। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চীনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে একযোগভাবে কাজ করতে হবে।
ভারতীয় সেনাপ্রধানের মন্তব্যের পর নেটিজেনরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, সেনাপ্রধানের মন্তব্যে শুধু পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশকেও পরোক্ষভাবে সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে, এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এবং কূটনীতিকরা আগামী দিনগুলোতে উত্তেজনা কমানোর জন্য কী পদক্ষেপ নেবেন, তা নজর রাখার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
ভারতীয় সেনাপ্রধানের বক্তব্যের পর বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একযোগ কাজ করা জরুরি। বাংলাদেশের জন্য এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভারত, পাকিস্তান এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে কূটনৈতিক সমীকরণ বজায় রাখতে হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং কূটনীতিকরা যাতে ভবিষ্যতে এমন উত্তেজনা এড়াতে সক্ষম হয়, সেজন্য প্রয়োজন হবে আরও শক্তিশালী কূটনৈতিক পদক্ষেপ।
এস এস আলম/