শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা আসছে আজ দুই ম্যাচ হেরেও সেমিফাইনালের স্বপ্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় কামনা করছে পাকিস্তান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিমাণে পরিবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মিরাজ! মুশফিকসহ ৩ পরিবর্তন হতে পারে পাকিস্তানের হার, সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথ এখন পানি মত সহজ সৌদি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বিনিময় হার আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট আরো কমে গেল ডলারের বিনিময় রেট এবার এল সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিতে মাঠে নামছে দুই শক্তিশালী দল

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর জন্য প্রস্তুতি ম্যাচের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এই প্রস্তুতি ম্যাচগুলো দলের প্রস্তুতি ও কৌশল পরখ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রস্তুতি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে অংশগ্রহণ করবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শীর্ষ আটটি দল। এই চারটি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশও একটি ম্যাচ খেলবে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে পাকিস্তান শাহীন্স। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ, কারণ এই ম্যাচে তারা নিজেদের প্রস্তুতি পরীক্ষা করতে পারবে এবং দলের ফর্ম পরখ করতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশের জন্য, ১৭ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমি মাঠে পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট দল এই ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে, কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল লড়াইয়ের আগে তাদের কৌশল এবং প্রস্তুতি পরিমাপের এটি একটি বড় সুযোগ। পাকিস্তান শাহীন্সও তাদের স্কোয়াডের শক্তি পরীক্ষা করতে মাঠে নামবে, কারণ এটি তাদের জন্যও প্রস্তুতির এক অংশ।

এদিকে, আফগানিস্তান সবচেয়ে বেশি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তারা ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে, পাকিস্তান শাহীন্সের মুখোমুখি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। পরের দিন, ১৬ ফেব্রুয়ারি, আফগানিস্তান আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, যা অনুষ্ঠিত হবে করাচি স্টেডিয়ামে। আফগানিস্তানের জন্যও এটি একটি বড় সুযোগ, কারণ তারা এই ম্যাচগুলোর মাধ্যমে নিজেদের শক্তি যাচাই করতে পারবে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে।

এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ। প্রথমটি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান শাহীন্সের মধ্যে, যা হবে দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমি মাঠে। এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদেরকে পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে প্রস্তুতির জন্য যথাযথ পরীক্ষা দিতে সুযোগ করবে। অপর ম্যাচটি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, যেখানে পাকিস্তান শাহীন্সের খেলোয়াড়রা মাঠে নামবেন করাচি স্টেডিয়ামে। আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে যে, সব প্রস্তুতি ম্যাচই ফ্লাড লাইটের আলোয় অনুষ্ঠিত হবে, যা রাতে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দর্শকদের জন্য আরও উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করবে।

এদিকে, ভারত নিজেদের প্রস্তুতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে না পারার কারণে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে নিজেদের নাম তুলে নিয়েছে, যা ক্রিকেটের বিশ্বে একটি চমক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। প্রতিপক্ষ দলের অভাবে ভারত এই ম্যাচগুলোতে অংশগ্রহণ করবে না, কিন্তু বাকী দলগুলো নিজেদের প্রস্তুতির জন্য পুরো মনোযোগ দিয়ে এই ম্যাচগুলো খেলতে প্রস্তুত।

পাকিস্তান শাহীন্সের দলে থাকা খেলোয়াড়রা এই ম্যাচগুলোতে নিজেদের কৌশল পরখ করার পাশাপাশি তাদের শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সক্ষম হবেন। পাকিস্তান শাহীন্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ হারিসের নেতৃত্বে মাঠে নামবেন আমির জামাল, আলি রাজা, ওয়াসিম জুনিয়র, সুফিয়ান মুকির এবং উসামা মীরের মতো ক্রিকেটাররা, যারা সকলেই তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পাকিস্তান শাহীন্স দুটি ম্যাচ একসাথে খেলবে। এটি অবশ্যই তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ একসাথে দুটি ম্যাচ খেললে শক্তির ব্যালান্স কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি তাদের জন্য বড় সুযোগ, কারণ পাকিস্তান শাহীন্স এমন একটি দল, যারা খেলার দিক থেকে অনেক শক্তিশালী। তাদের স্কোয়াডে বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের উপস্থিতি ম্যাচটিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলবে।

এই প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, দলগুলো তাদের কৌশল এবং ক্রিকেটীয় পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে তা মূল্যায়ন করতে পারবে। একদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি এবং অন্যদিকে প্রতিটি দলকে তাদের শক্তি ও দুর্বলতা যাচাই করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যা আসন্ন টুর্নামেন্টে তাদের সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ক্রিকেট ভক্তদের জন্যও এই প্রস্তুতি ম্যাচগুলো অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হবে, কারণ তারা দেখতে পারবে কিভাবে বিশ্বসেরা দলগুলো নিজেদের কৌশল এবং শক্তি পরখ করে চূড়ান্ত টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য এই প্রস্তুতি ম্যাচটি একটি বড় পরীক্ষা, যা তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে।

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com