নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য একটি সুপারিশ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতি তিন বছর পর পর এবং অবসর নেওয়ার ছয় মাস আগে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ, পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণ দাখিল করতে হবে।
এই সুপারিশটি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে, যা সম্প্রতি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশন জানায় যে, এসব বিবরণ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে এবং তারপর তা প্রকাশ করা হবে।
এর পাশাপাশি, বিচারকদের আচরণ, বিচারিক দক্ষতা, আদালত ব্যবস্থাপনা, মামলা ব্যবস্থাপনা, এবং আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনার কাজও করা হবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে।
কমিশনের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে, তা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে দাখিল করার জন্য একটি অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে এবং নির্দিষ্ট ই-মেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে, যাতে জনসাধারণ অভিযোগ করতে পারেন।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে, তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠনেরও সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিটি অভিযোগগুলো পরীক্ষা করবে এবং অভিযুক্তের বক্তব্য শুনে, প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে।
এছাড়া, সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া অভিযোগগুলোর পর্যালোচনাতে প্রতি তিন মাস পর পর এই কমিটি রিপোর্ট দেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই সুপারিশগুলো বিচার বিভাগের শৃঙ্খলা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের কার্যকলাপের উন্নয়ন সাধনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।