নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণার পর বিক্ষোভ তীব্র হয়ে উঠেছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি, নতুন কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ৫০ জনেরও বেশি সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কমিটি বাতিল না করা হয়, তবে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেলকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, নতুন কমিটিতে অনেক সম্মুখযোদ্ধাকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং বিতর্কিত কিছু ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নারী হেনস্তা ও কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষের যথাযথ মূল্যায়ন না করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এ ঘটনায়, মঙ্গলবার রাতে হাসনাত আবদুল্লাহ ও আরিফ সোহেল চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলার নতুন কমিটি অনুমোদন করেন, যেখানে মোট ৭৫৪ জন সদস্য রয়েছেন। তবে কমিটি ঘোষণার পর ৫০ থেকে ১০০ জন আন্দোলনকারী সদস্য পদত্যাগ করেন। তাদের দাবি, যদি ৩টার মধ্যে কমিটি বাতিল না হয়, তবে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আন্দোলনকারীরা আরও দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং কমিটিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম তিন দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হোক। বিকেল ৪টার দিকে, তারা চট্টগ্রামের লালখান বাজারে সড়ক অবরোধ করে তাদের প্রতিবাদ জানায়।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, নতুন কমিটিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে জোবায়রুল আলম, নগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে চৌধুরী সিয়াম ইলাহি এবং সংগঠক হিসেবে আবু বাছির নাঈম ছিলেন। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যদি কমিটি বাতিল না হয়, তবে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।