ভারত ও চীনের মধ্যে হিমালয়ের সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত প্রায় ৭৫ শতাংশ সমস্যারই সমাধান হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গতকাল জেনেভায় গ্লোবাল সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসিতে এক বক্তব্যে জয়শঙ্কর বলেন, পূর্ব লাদাখের সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। হিমালয় সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতির হার প্রথমবারের মতো তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, “কিছু বিষয়ে আমাদের এখনও কাজ করতে হবে। একটি বড় সমস্যা হলো, আমরা উভয় পক্ষই সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছি এবং এটা সীমান্তের সামরিকীকরণকেই ইঙ্গিত করে।” অন্যদিকে, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর, ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হিমালয় সীমান্তে অবশিষ্ট এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার জন্য দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে এবং তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে দু’পক্ষই সম্মত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ডোভাল-ওয়াং বৈঠক দুই পক্ষকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের জন্য করা সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলি পর্যালোচনা করার সুযোগ করে দিয়েছে যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং পুনর্নির্মাণের জন্য পরিবেশ তৈরি করবে।
ডোভাল বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং অমীমাংসিত সীমান্ত ইস্যুতে সম্মান প্রদর্শন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিক অবস্থার জন্য অত্যাবশ্যক এবং উভয় পক্ষকেই অতীতে দুই সরকারের পরস্পরের সঙ্গে সম্পাদিত প্রাসঙ্গিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, প্রোটোকল এবং ধারণা সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে।’
উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকে পূর্ব লাদাখের সীমান্তের বেশিরভাগ এলাকায় গত দুই বছর ধরে ভারত ও চীনের সেনাদের মুখোমুখি অবস্থান। ২০২০ সালের জুন মাসে সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা এবং একদল চীনা সেনা নিহত হন।