ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার তিন দিন পর পাঁচ উপত্যকা জেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পুনরায় চালু হয়েছে। তবে মোবাইল ডেটা এখনও বন্ধ রয়েছে।
ভারতের এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি আদেশে রাজ্য সরকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পুনরায় চালু করেছে।তবে মোবাইল ডেটার মাধ্যমে ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস বন্ধ থাকবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনে সচল হওয়া পাঁচটি উপত্যকা জেলা হলো ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীরা সহিংসতাকে উসকে দিতে পারে এমন আশঙ্কায় গত মঙ্গলবার মণিপুরের কিছু এলাকায় পাঁচ দিনের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটা সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব ও থৌবল জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘মণিপুর রাজ্যের আঞ্চলিক অধিক্ষেত্রে ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ৩ বিকাল ৩ টা পর্যন্ত পাঁচ দিনের জন্য লিজ লাইন, ভিএসএটি, ব্রডব্যান্ড এবং ভিপিএন পরিষেবা সহ ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডেটা পরিষেবাগুলোর ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।’
মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু মেইতি সম্প্রদায় ও খ্রিষ্টান কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কদিন পরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে বিগত কয়েক মাস কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করলেও গত সপ্তাহে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে।
নতুন সংঘাতে অন্তত ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীরা গত সপ্তাহে প্রাণঘাতী অস্ত্র এবং ড্রোন হামলার জন্য অভিযুক্ত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংসতা রূপ নিলে কারফিউ ঘোষণা করা হয়।