চার দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই সফরে তিনি ভারতীয় প্রবাসীদের পাশাপাশি মার্কিন আইনপ্রণেতা, ব্যবসায়ী এবং একাডেমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সফরের অংশ হিসেবে, রাহুল গান্ধী বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে বৈঠক এবং সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। বাংলাদেশ সম্পর্কে তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, তাদের নির্দিষ্ট কোনো দল কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক নেই; তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অথবা ভবিষ্যতের যেকোনো সরকারের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
এছাড়া, বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদ’ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধী জানান, কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে প্রধান পররাষ্ট্রনীতির বিষয়গুলোতে তারা ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী বলেন, বাংলাদেশে চরমপন্থি উপাদান নিয়ে ভারতের উদ্বেগ রয়েছে, যা বিজেপি সরকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং ভারত বর্তমান সরকার কিংবা ভবিষ্যতে অন্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
একইদিন রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটলে একদল আইনপ্রণেতার সাথে বৈঠক করেন এবং বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু উত্থাপন করেছি এবং তারা আমাদের সাথে আলোচনা করেছে।’ পাকিস্তান ইস্যুতে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদের প্ররোচনা আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করেছে। পাকিস্তান আমাদের দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা আমরা মেনে নেব না। যতক্ষণ তারা এটি চালিয়ে যাবে, আমাদের মধ্যে সমস্যা থাকবে।’ কাশ্মির ইস্যুটি দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশকে সংলাপ থেকে দূরে রাখছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না।