শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা আসছে আজ দুই ম্যাচ হেরেও সেমিফাইনালের স্বপ্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় কামনা করছে পাকিস্তান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিমাণে পরিবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মিরাজ! মুশফিকসহ ৩ পরিবর্তন হতে পারে পাকিস্তানের হার, সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথ এখন পানি মত সহজ সৌদি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বিনিময় হার আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট আরো কমে গেল ডলারের বিনিময় রেট এবার এল সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ

রোজার আগে হু হু করে লাফিয়ে সয়াবিন তেল নিয়ে চরম দু:সংবাদ

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে, বিশেষ করে রমজান সামনে রেখে এটি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অভিযোগ, বড় কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য। সরকারি সংস্থার পর্যবেক্ষণেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে খুচরা পর্যায়ে কিছু অভিযান পরিচালিত হলেও মিল পর্যায়ে কার্যকর নজরদারি নেই।

বছরের শুরু থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মুদি দোকানে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা। পাঁচ লিটারের বোতল প্রায় উধাও, আর কম পরিমাণের বোতল থাকলেও সেটির দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

একজন ক্রেতা বলেন, “সরকারের উচিত তেলের মজুদ নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয় ও দাম বেড়ে না যায়। রমজানের সময় দাম সবসময়ই বাড়ে, যা দুঃখজনক।”

বিক্রেতারা এই সংকটের জন্য সরাসরি সরবরাহকারী ও বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করছেন। তাদের দাবি, রমজানের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তেলের সরবরাহ কমিয়ে বাজারে সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, “আমরা ডিলারদের আগেই টাকা দিয়ে রাখি, কিন্তু তারা তেল সরবরাহ করছে না। রোজার আগে তারা পণ্য গুদামে রেখে বাজার থেকে গায়েব করে দেয়, যাতে দাম বাড়ে।”

সরকারি সংস্থাগুলো বাজার মনিটরিং জোরদার করলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না। খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বড় মিল মালিকরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, “কেউ যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা না করে। এমন হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমাদের হাতে এখনও সময় আছে, এবং মন্ত্রণালয় অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে, রমজানে দেশে প্রায় তিন লাখ টন ভোজ্যতেল দরকার হয়, যেখানে এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার লাখ টন আমদানি হয়েছে। এরপরও বাজারে সংকট কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সরকারি মনিটরিং জোরদার না হলে, রোজার আগে তেলের বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com