বঙ্গোসাগরে অবস্থিত সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি আজ রবিবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সমুদ্র বন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের তিন সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজারে তিন নম্বর সতর্কসংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই।
এদিকে গত শনিবার ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঝড় সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’। তবে দুঃসংবাদ হলো এই ঝড়ের পরবর্তী প্রভাব বা সিস্টেম বাংলাদেশের কাছাকাছি আসতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এর প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বৃষ্টির এই প্রবণতা থাকতে পারে বৃহস্পতি বা শুক্রবার পর্যন্ত।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি স্থলের কাছাকাছি। এটি গভীর নিম্নচাপ বা স্থল নিম্নচাপ হিসেবেই স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। এটির গন্তব্য ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমের দিকে।
আগামীকাল থেকে সারা দেশে বৃষ্টি বাড়ার আভাস থাকলেও এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত নিম্নচাপের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন শাহীনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনামে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টির (ইয়াগি) সিস্টেমটি বাংলাদেশের কাছাকাছি আসতে পারে। মূলত এর প্রভাবেই মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। ১২ বা ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বেশ ভালোই বৃষ্টি হতে পারে।’
নিম্নচাপের কারণে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় তিন সমুদ্রবন্দর (চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা) ও উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজারে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণও হতে পারে।