নিজস্ব প্রতিবেদক: একসময় ‘আপা’ ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির এক অটল নাম। দেশজুড়ে তার উপস্থিতি, তার কথার শক্তি এবং রাজনীতিতে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল এক রূপকথার মতো। আপার মুখে থাকা একটি হাসি কিংবা একটি কথা বদলে দিতে পারত বহু মানুষের ভাগ্য। দেশের বড় বড় নেতা, ব্যবসায়ী, এমনকি সাধারণ মানুষও তার আশীর্বাদ চেয়েছে। তার শাসন ছিল অপ্রতিরোধ্য, একসময় তিনি ছিলেন দেশটির অঘোষিত মহারাণী।
তবে, ক্ষমতার চূড়ায় পৌঁছানোর পর, এই পতন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। শাসনের কঠোরতা, নানা রকমের ঘৃণিত কর্মকাণ্ড এবং অপব্যবহার তাকে ফেলে দিয়েছে এক অনির্দিষ্ট কালো গহ্বরে। আজ, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, তার নাম এখন আর কেউ উচ্চারণ করতে চায় না।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন, আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং দেশের জনগণের মধ্যে প্রতিফলিত হওয়া অসন্তোষ—সব কিছুই ‘আপা’র পতনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। তার রাজনৈতিক বিদায় এখন অনিবার্য। শফিকুল আলম, যিনি একসময় তার পাশে ছিলেন, তিনি বলেছেন, “আপা, এখন তোমার জন্য কোনো কিছুই নেই, এটা শেষ।” বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা যেমন মোদি, ট্রাম্প, তাদের কাছেও ‘আপা’ এখন মৃত ঘোড়া, যাকে আর কেউ বহন করতে চায় না।
বিশ্বের সব কিছু পরিবর্তিত হয়েছে এবং আজ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘আপা’ এক স্মৃতি হয়ে উঠেছে। তার রাজনীতি আর ফিরে আসবে না, কারণ তিনি নিজেই সেই সব চ্যালেঞ্জের শিকার হয়েছেন, যা তাকে পরাজিত করেছে। আজ, বাংলাদেশে তার আর কোনো রাজনীতি নেই, শুধুমাত্র এক সমাপ্তি।
এটি ছিল তার শেষ অধ্যায়, এবং তার পরিণতি ছিল একেবারে অনিবার্য।