বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের যারা সমালোচনা করত তাদের গুম করে আয়না ঘরে রেখে দেওয়া হত। গুম করেও থেমে থাকেননি শেখ হাসিনা, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও অর্থ সহায়তার চেক প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী আহমেদ বলেন, পরাজিত স্বৈরাচারের দোসররা আবারো যেন মাথা চাড়া না দেয়, সেটা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে দেখতে হবে।” এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কারো চাপের মুখে আপনারা মাথানত করবেন না। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নানা কথা বলছেন। সৈয়দ জামিল আহমেদ আপনি এসব বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কিসের রাষ্ট্র তৈরি করতে চান? আবার আপনি শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে চান? আপনি শেখ হাসিনাকে ফিরে আনলে হয়ত আপনাদের আবার সুবিধা হবে, কিন্তু গোটা জাতি আবার ক্রীতদাস হয়ে যাবে, বন্দি হয়ে যাবে শেখ হাসিনার কাছে এবং তার প্রভু ভারতের কাছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সোমবার ২৫ জন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে। এই ২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের। এরা এখন ডিসি হয়ে গেছে, এরা তো গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করবে না। আজকে যারা আয়না ঘর করেছে, সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডকে যারা ধামাচাপা দিয়েছে, যারা একের পর এক দুষ্কর্ম করেছে তাদেরকেই তো এরা প্রশ্রয় দেবে।