ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট তথা ইউপিডিএফ (মূল)-এর ডাকা ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের কারণে রাঙামাটির সাজেকে আটকে পড়া এক হাজার ৪০০ পর্যটককে খাগড়াছড়িতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক খুদেবার্তায় এ তথ্য জানায়। ওই বার্তায় বলা হয়, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইউপিডিএফ (মূল)-এর ডাকা ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটে সাজেকে আটকা পড়া ১৪০০ জন পর্যটককে খাগড়াছড়িতে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে।
‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা’ প্ল্যাটফর্মে শনিবার সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয়া হয়। ওই দিন সকাল থেকে পার্বত্য জেলাগুলোতে শুরু হয় এ অবরোধ। পাশাপাশি রাঙামাটিতে যৌথ পরিবহন মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলে।
খাগড়াছড়িতে যানবাহন চলাচল শুরু
৭২ ঘণ্টার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শেষে খাগড়াছড়িতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে গেছে। সকল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বিশেষ করে সাজেকে ৩ দিন আটকে থাকার পর পর্যটকরা সাজেক থেকে ফিরতে শুরু করেছেন।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় সকাল ৭টায় সাজেক থেকে পর্যটকদের নিয়ে ১১২টি পিকআপ, জীপ, ২৩টি সিএনজি রওনা দিয়েছে। এর বাইরে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে সাজেক ছাড়েন বহু পর্যটক।
এছাড়া খাগড়াছড়ি সহিংসতার পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেববর্মন জানান, আটকে পড়া হাজারের অধিক পর্যটক রাত পোহানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব বাইক ও গাড়িতে রওনা হয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদেরকে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়ার পাশাপাশি অনেককে পুরোটাই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, দেশের অধিকাংশ জেলার সঙ্গে সমিতির সড়ক ও পরিবহন নেটওয়ার্ক আছে। আজ সকাল থেকে যথারীতি সব রুটে গণপরিবহন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, অন্যান্য পরিবহন সার্ভিসগুলোও চালু হয়েছে পুরোদমে।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় এবং জনপ্রতিনিধি ও অংশীজনদের সদিচ্ছায় কাল (সোমবার) বিকেল থেকেই পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আজ সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোদমে চালু হয়েছে। হাটবাজারে কেনাবেচায় সরগরম হয়ে উঠেছে। জনসাধারণ স্বস্তি নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করছেন।