শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা আসছে আজ দুই ম্যাচ হেরেও সেমিফাইনালের স্বপ্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় কামনা করছে পাকিস্তান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিমাণে পরিবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মিরাজ! মুশফিকসহ ৩ পরিবর্তন হতে পারে পাকিস্তানের হার, সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথ এখন পানি মত সহজ সৌদি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বিনিময় হার আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট আরো কমে গেল ডলারের বিনিময় রেট এবার এল সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ

সাবেক মন্ত্রীর ৭০ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, সাবেক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৭০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ঘটেছে। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ, এবং তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম রয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলোতে মোট ২৩ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ২০২ টাকা বর্তমানে স্থিতি হিসেবে পাওয়া গেছে।

এ অ্যাকাউন্টগুলো বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে, যেমন- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এবং আরো কয়েকটি ব্যাংক। এসব অ্যাকাউন্টে লেনদেনের পরিমাণ খুবই সন্দেহজনক এবং আয়কর ফাইলের তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর আয়কর ফাইলে যে পরিমাণ সম্পদের তথ্য দেওয়া হয়েছিল, তা থেকে অনেক গুণ বেশি সম্পদ অর্জিত হয়েছে বলে জানা গেছে। আয়কর ফাইলের তথ্যের সঙ্গে এই ৭৫০ কোটি টাকার লেনদেনের অমিল রয়েছে।

এছাড়াও, হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রীর পাশাপাশি তার দুই ভাই এরশাদ মাহমুদ ও খালেদ মাহমুদও বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিদেশে টাকা পাচার, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জমি দখল, বন বিভাগের পাহাড় দখল, বাংলো ও বাগানবাড়ি নির্মাণ, পুকুর খনন করে মাছ চাষ, এবং ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে অট্টালিকা ও ফ্ল্যাটের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ। এছাড়া, আবুধাবির আজমান এলাকায় বিশাল জায়গা নিয়ে রিসোর্ট তৈরির পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের তথ্যও উঠে এসেছে।

এ তথ্যের পর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই লেনদেনের তদন্ত শুরু করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে।

 

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com