বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তে এক নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যখন ভারতের বিএসএফ বাহিনী বাংলাদেশের কৃষকদের ওপর আক্রমণ করেছে। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি সীমান্তে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে কিছু কৃষককে বেধরক পেটায়। সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বিএসএফের এই আগ্রাসন গ্রামবাসী ও বিজিবির প্রতিরোধের মুখে পড়ে। স্থানীয় জনগণ এবং বিজিবি সদস্যরা একত্রিত হয়ে বিএসএফকে প্রতিরোধ করে এবং তাদেরকে সীমান্তে ফিরিয়ে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএসএফ সদস্যরা প্রথমে কৃষকদের গালাগালি করতে থাকে এবং এরপর লাঠি দিয়ে তাদের পেটাতে শুরু করে। যখন কৃষকরা প্রতিবাদ জানায়, তখন বিএসএফের আক্রমণ আরও তীব্র হয়ে যায়। এর ফলে এলাকার জনগণ প্রতিবাদ জানিয়ে লাঠি এবং শট দিয়ে বিএসএফকে প্রতিরোধ করে। বিএসএফ পরে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বিজিবি তাৎক্ষণিকভাবে বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি পতাকা বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে বিএসএফ তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। বিএসএফ জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এই হামলা হয়েছিল, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি সীমান্তের গোরকম মন্ডল সীমান্তে, যেখানে বিজিবির নেতৃত্বে ছিলেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম এবং বিএসএফের পক্ষে ছিলেন ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর তিনটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার অমিত কুমার।
বিজিবি জানায়, বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং কৃষকরা আবারও তাদের জমিতে কাজ করতে পারবেন। তাদের জানানো হয়েছে, বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যদের শাস্তি দেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর সীমান্তবাসীরা ও বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ বিজিবির তৎপরতা এবং পদক্ষেপের প্রশংসা করছে, যদিও এই ধরনের উত্তেজনা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিএসএফের আগ্রাসী কার্যক্রম সীমান্তে শান্তি রক্ষায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে বিজিবি তাদের দৃঢ় পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।