ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে বুধবার সকাল থেকে সারাদেশে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর ফলে এখন থেকে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলেন। এখন থেকে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার কিংবা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন তারা।
গত দুই দশকে বাংলাদেশের সব জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও তাদের হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ছিল না। তারা বিভিন্ন কাজে মাঠ প্রশাসনকে সহায়তা করেছে।
গত ৮ই অগাস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও পোশাক খাতসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অসন্তোষ রয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা নয় শুধুমাত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আলী ইমাম মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিরাজমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শুধুমাত্র ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তাদের হাতে এই ক্ষমতা থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়।”
এর আগে ২০০২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করে অপারেশন ‘ক্লিনহার্ট’ নামে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত হওয়া ওই অভিযানে তখন নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা অবস্থায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।
হেফাজতে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির নেতাকর্মী। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেনাবাহিনীকে মাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ায় আবারও এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না সেই প্রশ্নও দেখা যাচ্ছে।