শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা আসছে আজ দুই ম্যাচ হেরেও সেমিফাইনালের স্বপ্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় কামনা করছে পাকিস্তান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিমাণে পরিবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মিরাজ! মুশফিকসহ ৩ পরিবর্তন হতে পারে পাকিস্তানের হার, সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথ এখন পানি মত সহজ সৌদি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বিনিময় হার আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট আরো কমে গেল ডলারের বিনিময় রেট এবার এল সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ

হাসিনা সরকারের নির্বাচনী কারচুপির মূল নায়ক: জড়িতদের তথ্য ফাঁস

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে রয়ে গেছে, যেখানে ভোট চুরি, কারচুপির অভিযোগ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অবৈধতার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। নির্বাচনকালীন সময়ের গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোও এসব অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠা করেছে, যা দেশের জনগণকে সরকারের ভোট চুরি কৌশল এবং পরিকল্পনার ব্যাপারে নতুন তথ্য দিয়েছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে হাসিনা সরকারের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নাম উঠে এসেছে। দুটি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এই নির্বাচন প্রভাবিত করার নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ভোট বাক্স পরিবর্তন, জাল ভোট গ্রহণ, কেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন নির্বাচনী কারচুপির সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। এসব কৌশল নির্বাচনের আগে থেকেই মাঠে নামানো হয়েছিল, এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সেসময় কার্যকরী তথ্য সরবরাহ করতে শুরু করে। বিশেষভাবে, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও এই নির্বাচনী কারচুপির অংশ হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়েছিল।

এছাড়া, বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করতে নির্বাচনের আগে তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ পৌঁছানো হয়, যাতে তারা সরকারের পক্ষেই কাজ করে। নির্বাচন শেষে, এসব কর্মকর্তাদের জন্য আর্থিক সুবিধা এবং বিদেশ সফরের সুযোগও তৈরি করা হয়।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে যে, নির্বাচনের কয়েকদিন আগে সরকার যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করেছিল, তাদের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনের সময় এই কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কার্যকরীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। এসব কর্মকর্তাদের ভোটের পর সুপারিশের ভিত্তিতে বিশেষ আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়।

এটি প্রমাণ করে যে, হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনী কারচুপির মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল, এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সরকারী নীতির মধ্যে ভোট চুরি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হাইজ্যাক করার ঘটনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আয়শা/

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com