মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়, সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি। এতেই লণ্ডভণ্ড হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা। উপড়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো উপজেলা। রাস্তায় গাছ উপড়ে পরে বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আকস্মিক এই ঘূর্ণিঝড় প্রবল বেগে আঘাত হানে এ উপজেলায়।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ঝড়ের ফলে উপজেলায় কয়েক হাজার গাছ উপড়ে গেছে এবং আনুমানিক তিন শতাধিক টিনের ঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ঝড় হলেই আমরা ঝুঁকিতে থাকি। এ পর্যন্ত ঝড়ে ৬/৭টি গাছ উপড়ে পড়ে স্থাপনা ভেঙে গেছে। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ চাম্বল গাছগুলো দ্রুত অপসারণ করে আমাদের নিরাপদ করা হোক।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাউফল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ১৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। অন্তত ২০০ স্থানে তার ছিঁড়ে এবং অসংখ্য গাছ পড়ে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে তিন দিন সময় লাগতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী কালবেলাকে বলেন, রাতের আকস্মিক ঝড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ ও ঢেউটিন সহায়তা দেওয়া হবে।