ইয়েমেন থেকে ২ হাজার কিমি দূরের ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি যোদ্ধারা। ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, তারা একটি নতুন হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের রাজধানীর কাছে হামলা চালিয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে দাবি করে তিনি বলেন, ইসরায়েল আয়রন ডোম ও অ্যারো ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে কয়েক দফা চেষ্টা চালালেও ইয়েমেনের ওই ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে পারেনি।
রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে ইয়েমেন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, দেশের সশস্ত্র বাহিনী তেল আবিবের দক্ষিণে জাফা এলাকায় ইসরাইলি শত্রুর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে একটি গুণগত অভিযান চালিয়েছে। এই হামলা ইয়েমেনের সামরিক সক্ষমতার প্রকাশ।
জেনারেল সারি বলেন, ইয়েমেনি বাহিনী নতুন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অভিযান চালিয়েছে যা শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জেনারেল সারি বলেন, ইয়েমেন থেকে ২০৪০ কিলোমিটার দূরে এই ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র সাড়ে ১১ মিনিটে পৌঁছে যায়। এতে ইহুদিবাদীদের মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভীতি এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলি বাহিনীর সাইরেনের শব্দে ব্যাপক হুড়োহুড়ি করে অন্তত ২০ লাখ ইহুদিবাদী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়। ইসরায়েলের ইতিহাস এটি প্রথম এ ধরনের ঘটনা।
জেনারেল সারি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল শত্রুদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী যে অভিযান পরিচালনা করছে তার পঞ্চম ধাপের অংশ হিসেবে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, আমেরিকা এবং ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত করেছে।
গাজার জনগণের প্রতি ধর্মীয় নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব থেকে সংহতি প্রকাশের জন্য ইয়েমেনিরা ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে লড়ছে বলেও উল্লেখ করেন জেনারেল সারি। তিনি সতর্ক করে বলেন, আগামী দিনগুলোতে ইহুদিবাদীরা এ ধরনের আরও হামলার আশা করতে পারে।