কানপুরের গ্রীন পার্ক স্টেডিয়াম ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম পুরোনো টেস্ট ভেন্যু। এই মাঠেই আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-বাংলাদেশ। সফরকারীদের এই ম্যাচে লক্ষ্য থাকবে ধবলধোলাই এড়িয়ে ইতিহাস গড়ে লাল বলের ফরম্যাটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়ার।
তবে এই মাঠের টেস্ট ফরম্যাটের পরিসংখ্যান অনুসারে সেটি হবে বেশ কঠিন কাজ। সম্ভাবনা থাকবে ফলাফল না হওয়ারও অর্থাৎ ম্যাচটি ড্র হওয়ার। তবে শান্তরা যদি জয় তুলে নিতে পারে তাহলে এই মাঠে তৃতীয় দল হিসেবে সাদা পোশাকে ভারতকে হারানোর কীর্তিও হয়ে যাবে। এর আগে এই মাঠে টেস্টে ভারতকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯৪৭ ব্রিটিশ রাজত্ব থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৫১/৫২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম বার কানপুরের এই স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল ভারত। যদি ঐ ম্যাচে হেরেছিল স্বাগতিকরা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এই মাঠে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩টি। তার মধ্যে ভারত জিতেছে মাত্র ৭টি। হেরেছে ৩টি টেস্ট। বাকি ১৩ টেস্ট ড্র হয়েছে। অর্থাৎ পরিসংখ্যা বলে দিচ্ছে কানপুরে বেশির ভাগ ম্যাচেই ফলাফল হয়নি। সর্বশেষ এই মাঠে খেলা ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ ড্র হয়েছিল।
মজার বিষয় হচ্ছে সাদা পোশাকে সবশেষ এই মাঠে ভারত পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছিল প্রায় ৪১ বছর আগে। ১৯৮৩ সালে ইনিংস ব্যবধানে স্বাগতিকরা হেরেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ঐ হারের পর এই মাঠে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯টি ম্যাচ যার মধ্যে ভারত জিতেছে ৫টি ম্যাচে আর বাকি ৪টি হয়েছে ড্র। অর্থাৎ ভারতে এই মাঠে হারতে ভুলে গেছে হয়তো জয় নয়তো ড্র করেই খেলা শেষ করে।
এদিকে এই মাঠে কোনো ফরম্যাটেই এর আগে খেলেনি বাংলাদেশ। তাতে এ ম্যাচ দিয়েই প্রথম বারের মতো কানপুরে খেলতে নামবেন শান্তরা। আর সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো এই টেস্টেও টাইগারদের সামনে বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও জাদেজা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দলে থাকা এই দুই ক্রিকেটারের এ মাঠে পারফরম্যান্স এমনটি বলছে।
আর যেহেতু এই ম্যাচের উইকেটটি স্পিনবান্ধব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে এই দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন কুলদ্বিপ যাদবও। যদিও টাইগারদেরও রয়েছে স্পিন শক্তি। উইকেট ও পরিস্থিতি বিবেচনায় একজন পেসার কমিয়ে হয়তো মূল একাদশে একজন স্পিনারকেও যুক্ত করতে পারেন শান্তরা। তবে সবাই তাকিয়ে থাকবে এই ম্যাচের ফল দেখতে।