bd 1

শেষ হল বাংলাদেশ পাকিস্তানের ম্যাচ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের অন্যতম বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটিং। প্রস্তুতি ম্যাচেও সেই চিন্তা দূর হয়নি। পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ছিল একেবারে বিপর্যস্ত। অল্প রান নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করলেও বোলাররা তেমন সহায়তা করতে পারেনি, যার ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল পর্বে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ বড় হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।

দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৮.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে। পাকিস্তান ‘এ’ দল ৩৪.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয় লাভ করে।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল শুরু থেকেই দুর্বল। ব্যাটসম্যানরা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেননি। তবে বোলিংয়ের শুরুটা ভালো হয়েছিল। নতুন বলে টাইগাররা বেশ আঁটসাঁট বোলিং করে, প্রথম পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান ‘এ’ দলকে ৪২ রানের বেশি করতে দেয়নি এবং দুটি উইকেট তুলে নেয়।

পাওয়ার প্লে শেষেও বাংলাদেশ বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল, বিশেষ করে পেসাররা। একশ রান না ছাড়াতেই পাকিস্তান ‘এ’ দলের তিনটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরার আশা জেগেছিল। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা, ফলে পাকিস্তান ‘এ’ দল ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায়।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল একেবারে হতাশাজনক। সর্বশেষ বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিম ৬ রানে আউট হন। তার সঙ্গী শান্তও সুবিধা করতে পারেননি, তিনি ১২ রান করে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

তামিম ও শান্তর পর সৌম্য সরকার একমাত্র ভালো ব্যাটিং করেন। বিপিএলে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও সৌম্যের ব্যাটিংয়ে তেমন কোনো ছাপ ছিল না। ৩৫ রান করে সৌম্য রান আউট হয়ে ফিরে যান। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন, কিন্তু ৪৪ রান করে হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশায় ফিরে যান।

মুশফিকুর রহিম ও জাকের আলি ব্যর্থ হয়ে দলের অবস্থা আরও খারাপ করে ফেলে। এর ফলে ১৫০ রানের আগে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। এরপর, তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, তারা প্রয়োজনীয় রান তোলেননি। সাকিব ২৭ বলে ৩০ রান এবং রিশাদ ১৫ বলে ১৪ রান করেন।

অবশেষে, নাসুম আহমেদ ১৫ রান করে দলের রান কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করেন, তবে লেজের ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ কোনোমতে ২০০ রান পেরিয়ে অল আউট হয়ে যায়।

এভাবে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির জন্য চাপ তৈরি হয়েছে। তবে, বাংলাদেশ আশা করছে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তারা নিজেদের খেলা উন্নত করতে পারবে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো পারফরম্যান্সে ঘুরে দাঁড়াবে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০২/১০ (৩৮.৪ ওভার)
পাকিস্তান ‘এ’: ২০৩/৩ (৩৪.৫ ওভার)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top