গাজায় মানবিক বিপর্যয়: খাবারের জন্য হাহাকার
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্তমানে মানবিক বিপর্যয় চরম আকার ধারণ করেছে। খাবারের জন্য শিশুর কান্না, মায়েদের অসহায়ত্ব এবং চারদিকে চরম অস্থিরতা — একে বলা চলে মানবিকতার শেষ সীমা। দখলদার ইসরাইল সরকারের কারণে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
সমুদ্রপথে আশার আলো: ‘হান্দালা’ জাহাজের যাত্রা
এই চরম দুর্দশার মধ্যে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। তারা শিশু খাদ্য, ঔষধ এবং ডায়াপারসহ অত্যাবশ্যকীয় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সমুদ্রপথে ‘হান্দালা’ নামের একটি জাহাজ পাঠায় গাজার উদ্দেশ্যে।
শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে, যখন জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় পৌঁছে, তখন সেটিকে ঘিরে ফেলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এরপর জাহাজের সব ক্যামেরা বন্ধ করে আরোহীদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও নিখোঁজ যাত্রীদের ভবিষ্যৎ
জাহাজটিতে মোট ২১ জন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন মানবাধিকারকর্মী এবং ২ জন ছিলেন আল-জাজিরার সাংবাদিক। এদের মধ্যে কারো সাথেই এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সরাসরি আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন।
মিশরের মানুষের আশ্চর্য উদ্যোগ
পাশ্ববর্তী মিশরের সাধারণ মানুষ নিজেরাই নৌকায় খাবার ভরে সাগরে ছেড়ে দিচ্ছেন এবং দোয়া করছেন — “হে আল্লাহ, এই খাবার গাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দাও।” এটি মানবিক সংহতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা
CNN এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইল শুধু একটি জাহাজ আটকায়নি — তারা পুরো মানবতাবাদকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
বাংলাদেশ নিউজ২৪ এর মতামত: মানবিকতা রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। গাজার শিশুদের খাদ্য ও চিকিৎসা কেড়ে নেওয়া কোনো সভ্যতার চিহ্ন নয়। পাঠক, আপনি কী মনে করেন? আপনার মতামত জানাতে নিচে মন্তব্য করুন।
Gaza aid ship intercepted by Israeli forces in international waters. Humanitarian crisis deepens as global outrage spreads.


