সংক্ষিপ্ত বিবরণ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যৌন হয়রানি নিয়ে একটা অভিযোগ উঠেছে, যা সবাইকে চিন্তিত করে তুলেছে। এক ছাত্রী তার প্রফেসরের বিরুদ্ধে অশালীন প্রস্তাব এবং হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এটা শুধু একটা ঘটনা নয়, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে।
ঘটনার বিস্তারিত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. রুবেল আনসারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এসেছে। ছাত্রীটি বলেছেন, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে শুরু হয়েছে সব। প্রফেসর তাকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেন, ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন, এমনকি যৌন সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। একবার গাড়িতে উঠিয়ে বলেন, ‘আমি তোমাকে চাই, একা বাসায় নিয়ে যাব।’ ছাত্রীটি ভয় পেয়ে যান এবং পরে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে আরও আছে, প্রফেসর বলেন, ‘জেদ করো না, আজ না হোক কাল আমার ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেবই।’ এটা শুনে ছাত্রীটি ট্রমায় পড়েন এবং ক্লাস করতে কষ্ট হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি নিরোধ কেন্দ্রে অভিযোগ দিলে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যৌন হয়রানি কীভাবে ঘটেছে?
ঘটনাটি শুরু হয় অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে। প্রফেসর ছাত্রীকে মেসেজ করেন, ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। পরে গাড়িতে উঠিয়ে অশালীন কথা বলেন এবং হাত ধরেন। ছাত্রীটি ভয় পেয়ে পালান। এই অভিযোগে তদন্ত চলছে, যা ক্যাম্পাস নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। (৫২ শব্দ)
প্রফেসরের প্রতিক্রিয়া
প্রফেসর রুবেল আনসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব শিক্ষার্থী আমার কাছে সমান।’ তবে ছাত্রীটি বলেছেন, তিনি আগেও এমন হয়রানিতে জড়িত ছিলেন।
তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
যৌন হয়রানি নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতি তাসলিমা খাতুন বলেছেন, তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। ছাত্রবিষয়ক পরিচালক নাজমুস সাদাতও কমিটির সদস্য। এটা একটা ভালো পদক্ষেপ, কিন্তু দ্রুত বিচার দরকার।
- অভিযোগ দায়ের: ৭ আগস্ট
- কমিটি গঠন: ইতিমধ্যে
- প্রভাব: ছাত্রী ট্রমায় ভুগছেন
এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে। আরও জানতে যৌন হয়রানি নিয়ে উইকিপিডিয়া দেখো। অনুরূপ ঘটনা নিয়ে বিবিসির রিপোর্ট পড়ো।
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা কেন গুরুত্বপূর্ণ
বন্ধু, এমন ঘটনা শুনলে মন খারাপ হয়। ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও সচেতনতা প্রোগ্রাম চালানো উচিত।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কী করা যায়?
প্রতিরোধে সচেতনতা ক্যাম্পেইন, দ্রুত অভিযোগ ব্যবস্থা এবং কাউন্সেলিং সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রীরা সাহস করে বলুন, তাহলে পরিবর্তন আসবে। (৪৫ শব্দ)
উপসংহার
এই ঘটনা আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। আশা করি, তদন্তে সত্য বেরোবে এবং ন্যায় হবে। আরও শিক্ষা সংক্রান্ত খবরের জন্য এখানে ক্লিক করো।
বন্ধু, সচেতন থাকো এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলো। তোমার মতামত কমেন্টে জানাও!
বাংলাদেশ নিউজ২৪ এর মতামত: তোমার কী মনে হয় এই ঘটনা নিয়ে? কমেন্ট করে জানাও, আমরা সবার কথা শুনতে চাই।
আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যৌন হয়রানি অভিযোগ কী?
এক ছাত্রী প্রফেসর রুবেল আনসারের বিরুদ্ধে অশালীন প্রস্তাব এবং হয়রানির অভিযোগ করেছেন। তদন্ত চলছে।
তদন্ত কমিটি কী করছে?
৭ সদস্যের কমিটি গঠন হয়েছে, যা অভিযোগ যাচাই করবে।
ছাত্রীদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?
সচেতনতা প্রোগ্রাম এবং দ্রুত অভিযোগ ব্যবস্থা দিয়ে।
প্রফেসর কী বলেছেন?
তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এমন ঘটনা কেন ঘটে?
ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সচেতনতার অভাবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যৌন হয়রানি অভিযোগে প্রফেসর রুবেল আনসারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ছাত্রীর অশালীন প্রস্তাব এবং হয়রানির বিস্তারিত জানুন, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করুন।


