এস আলমের মালিকানাধীন চারটিসহ পাঁচটি ব্যাংকে ১১শ’ কোটি টাকা আমানত রেখে বিপাকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। টাকা ফেরত চেয়ে দফায় দফায় চিঠি দিয়েও ফল মিলছে না। অনিরাপদ জেনেও অবৈধভাবে লাভবান হওয়া বা লুটেরাদের প্রভাবে বেসরকারি ব্যাংকে বিপুল টাকা রাখা অন্যায় জানিয়ে এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি নাগরিক সমাজের।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাপক লুটপাটে ধংস বা ধ্বংশের কিনারে চলে যায় কয়েকটি ব্যাংক। ব্যাংক ব্যবস্থায় অস্থিরতার মধ্যে আমানত সুরক্ষিত এবং উন্নয়ন প্রকল্পের ক্রয় স্বাভাবিক রাখতে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংকে রাখা টাকা তোলার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। মেয়াদি আমানতের মধ্যে এস আলম সংশ্লিষ্ট চার ব্যাংকের ২১টি শাখায় চট্টগ্রাম বন্দরের তহবিল প্রায় ৯২৬ কোটি টাকা।
অনিরাপদ জেনেও বেসরকারি ব্যাংকে টাকা রাখা অন্যায় উল্লেখ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি টাকাগুলো সরকারি ব্যাংকে রাখার পরামর্শ নাগরিক সমাজের। এই বিপুল টাকা শিগগির না পেলে ভবিষ্যতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে, জানান বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
বাস্তবতা উপলব্ধি করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরাও। এই অবস্থায় আমানত ফিরে পেতে অপেক্ষা ছাড়া উপায় দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। মূলত জাহাজ নোঙ্গর, পণ্য উঠানামা, ইয়ার্ড ভাড়া এবং নিজস্ব জমির ভাড়াসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রতিবছর এ অর্থ আয় করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যা ব্যয় হয় বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, যন্ত্রপাতি, জনবল ও পরিচালনায়।