প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি তার দুবাই সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন। এই সফরে তিনি ওয়ার্ল্ড গভমেন্ট সামিটে যোগদান করেন এবং পাশাপাশি আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন। এই সফরের ফলে বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে, যা তাদের জন্য এক বড় সুখবর।
অনেকদিন ধরেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমিরাত সরকারের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ড. ইউনূসের সফরের পর এই প্রশ্নটি আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, যখন জানা যায় যে তিনি আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমেদ বেলহুল আল ফালাসি এবং অন্যান্য শীর্ষ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তখন প্রবাসীদের মনে আশা জাগে, হয়তো এবার সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানকালে, ড. ইউনূস বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আমিরাত কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগের জন্য জোরালো আহ্বান জানান এবং আমিরাতের বিভিন্ন কোম্পানির জন্য বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমশক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানো এবং আমিরাতের শিল্পমণ্ডলীর জন্য বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া, চট্টগ্রাম বন্দরে আমিরাতের ব্যবসায়িক বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়া ও শিক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই আলোচনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ, এবং আরও নানা সুবিধা নিয়ে আসতে পারে।
এদিকে, ড. ইউনূসের সফর শেষে জানা গেছে যে, আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জাইদী বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। এতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের এই সফর দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে, এবং প্রবাসীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে আরও সুযোগ ও সুবিধা পেতে পারেন।