শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা আসছে আজ দুই ম্যাচ হেরেও সেমিফাইনালের স্বপ্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় কামনা করছে পাকিস্তান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পরিমাণে পরিবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মিরাজ! মুশফিকসহ ৩ পরিবর্তন হতে পারে পাকিস্তানের হার, সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথ এখন পানি মত সহজ সৌদি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার আজকের বিনিময় হার আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট আরো কমে গেল ডলারের বিনিময় রেট এবার এল সৌদি প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ

পাকিস্তানের হার, সেমিফাইনালে বাংলাদেশের পথ এখন পানি মত সহজ

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার পর যদি সেমি ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে, সেটা আসলে নানা অংকের হিসাবেই নির্ভর করে। একদিকে, নেট রান রেটের সুবিধা, অন্যদিকে, অন্যান্য দলের ফলাফল—এসব মিলিয়েই একটা আশার আলো জ্বলে ওঠে। তবে বাস্তবতা হলো, আমাদের হাতে সুযোগ থাকলে সেটা কাজে লাগাতে হবে। আমরা জানি, শক্তি বিচারে নিউজিল্যান্ড আমাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে, কিন্তু ক্রিকেটের খেলায় কখন কী ঘটে তা তো বলা মুশকিল!

এখন, যদি আমরা নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারি, তাহলে নিজেদের পয়েন্ট ২ হবে, আর নিউজিল্যান্ডেরও থাকবে ২ পয়েন্ট। এই অবস্থায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকতে হবে আমাদের এবং নিউজিল্যান্ডের। এখানে একটা বড় প্রাপ্তি হবে নেট রান রেট—যেটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এক ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলে সেই রান রেটটা অনেকটাই পিছিয়ে যাবে। কিন্তু বড় কথা, এমন কিছু না হলে এখনো আশা রয়ে যাবে।

ভারতের সঙ্গে আমাদের শেষ ম্যাচে হারলেও, যদি পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারায়, তবে সেই হিসাবেও আমাদের পক্ষে কিছু সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কারণ, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডও আমাদের মতো ২ পয়েন্টের মধ্যে থাকতে পারে। এরপর নেট রান রেট ও অন্যান্য ফলাফল সব মিলিয়ে কোন দল সেমিতে যাবে তা নির্ধারিত হবে। ভারত সম্ভবত ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, যেহেতু তারা ভালো ফর্মে রয়েছে এবং কন্ডিশনও তাদের অনুকূলে।

তবে সত্যি বলতে, এখনও আমাদের হাতে অনেক কিছুই থাকে। বাংলাদেশ কখনো জানায়নি যে সে হার মানবে, তা সে বড় দলের বিপক্ষে হোক বা ছোট দলের বিপক্ষে। ২০১৭ সালের মতো এক সময় ছিল যখন কিউইদের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ আর ২০১৭ সালের বাংলাদেশে অনেক পার্থক্য, তবে কোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে অবমূল্যায়ন করাটা ভুল হবে। কিউইদের বিপক্ষে জয় আমাদের জন্য একটা দারুণ মুহূর্ত হতে পারে, যেটি দলকে আত্মবিশ্বাসের শিখরে নিয়ে যেতে পারে।

আর যদি হারি, তখন তো বুঝতেই পারছেন, সোজা বিদায়। তবুও, “আশায় বাঁচে চাষা”—অর্থাৎ আশা করাই তো আমাদের আত্মবিশ্বাসের অংশ। মনে রাখতে হবে, ক্রিকেট unpredictable, এই খেলায় কিছুই নিশ্চিত নয়। যেহেতু কিছুই বলা সম্ভব নয়, তাই চুপচাপ হিসেব করি, ম্যাচটা দেখব, আর অপেক্ষা করব সেরা ফলের জন্য।

শেষমেষ, আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল—সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যদি আশা বাঁচিয়ে রাখি, তবে সেটা আমাদের নতুন শক্তি যোগাবে। অন্যথায়, যদি নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের কাছে হারি, সেটা কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা হবে না। তবে সবকিছু যখন এক সঙ্গে মিলিয়ে দেখি, তখন মনে হয়, একদিন আমাদের জন্য আশা কিছুটা থাকবে।

সোহাগ/

অন্যরা যা পছন্দ করছে
© All rights reserved © 2024 bdnews24us.com