বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ঘোষণা করেছে যে, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন মূল্য ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পূর্বের তুলনায় ২ হাজার ৯৯৪ টাকা বেশি। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সোনার এত উচ্চমূল্য প্রথমবারের মতো দেখা গেলো।
নতুন সোনার মূল্য তালিকা:
সোনার মান | মূল্য বৃদ্ধির পরবর্তী দাম (প্রতি ভরি) | মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ |
---|---|---|
২২ ক্যারেট | ১,৪৯,৮১২ টাকা | ২,৯৯৪ টাকা বৃদ্ধি |
২১ ক্যারেট | ১,৪৩,০০১ টাকা | ১,৯০২ টাকা বৃদ্ধি |
১৮ ক্যারেট | ১,২২,৫৭৭ টাকা | ১,৬৩৩ টাকা বৃদ্ধি |
সনাতন পদ্ধতির সোনা | ১,০০,৯১৭ টাকা | ১,৩৮৮ টাকা বৃদ্ধি |
এটি প্রথমবারের মতো যে, সনাতন পদ্ধতির সোনার এক ভরি মূল্য এক লাখ টাকা অতিক্রম করেছে, যা বাংলাদেশের স্বর্ণ বাজারে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
সোনার দামের ঊর্ধ্বগতির কারণ:
বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পাকা) সোনার দামেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের পরিবর্তন এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ।
রুপার বাজারে স্থিতিশীলতা:
যদিও সোনার দাম বাড়েছে, তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রুপার নতুন দাম তালিকা:
রুপার মান | মূল্য (প্রতি ভরি) |
---|---|
২২ ক্যারেট রুপা | ২,৫৭৮ টাকা |
২১ ক্যারেট রুপা | ২,৪৪৯ টাকা |
১৮ ক্যারেট রুপা | ২,১১১ টাকা |
সনাতন পদ্ধতির রুপা | ১,৫৮৬ টাকা |
বাজারে এর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা:
নতুন এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কিছুটা লাভবান হলেও সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বিয়ের মৌসুমে এবং বিনিয়োগের জন্য সোনার চাহিদা অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়তি দাম কিছু ক্রেতাকে পিছিয়ে রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার উপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে সোনার দাম পুনরায় সমন্বয় করা হতে পারে।